ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

গম রপ্তানি বন্ধ করল ভারত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৮ পিএম, ১৪ মে ২০২২ শনিবার

দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে গম রপ্তানি বন্ধ করল ভারত। শুক্রবার দেওয়া এ ঘোষণা সেদিন থেকেই কার্যকর হয়েছে। তবে ভারত সরকার জানিয়েছে, যেসব রপ্তানি চালানের ক্রেডিট লেটার আগেই ইস্যু করা হয়েছে শুধু সেগুলোর চালান যেতে অনুমতি দেওয়া হবে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে গমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাময়িকভাবে গম রপ্তানি বন্ধের কথা জানিয়েছে ভারত। তবে, গত শুক্রবার বা তার আগে গম রপ্তানিতে যেসব দেশের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে সেগুলো বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটি।

এই ঘোষণার মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সঙ্কটকালে বিশ্বকে শস্য জোগানোর আশা দেখিয়ে আসা ভারত এবার উল্টো পথে হাঁটল।

ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে রপ্তানি কমে যাওয়ার পর গমের ক্রেতারা যখন ভারতের দিকে ঝুঁকছিল, তখনই দেশটি রপ্তানি বন্ধ করে দিল।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, তাপদাহে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং স্থানীয় পর্যায়ে গমের দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।

অবশ্য ভারতের সরকার বলছে, যেসব রপ্তানি আদেশ আগেই হয়েছে, সেসব দেশ গম পাবে। যেসব দেশ খাদ্য নিরাপত্তায় চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচেছ, তাদের ক্ষেত্রেও রপ্তানির অনুমতি তারা দেবে।

গম রপ্তানিতে ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়ানোর এবং এশিয়া ও আফ্রিকার গরিব দেশগুলোকে ক্ষতির মুখে ফেলার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘হতাশাজনক’ বলছেন একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মুম্বাইভিত্তিক ডিলার। 

তিনি রয়টার্সকে বলেন, “আমরা আরও দুই থেকে তিন মাস পরে রপ্তানি বন্ধে সিদ্ধান্তটি আশা করেছিলাম, কিন্তু মূল্যস্ফীতির অঙ্ক সরকারের মনোভাব পরিবর্তন করেছে বলে মনে হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, পরিমাণ ও মূল্য উভয় দিক থেকে ভারতীয় গমের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বাংলাদেশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতের মোট গম রপ্তানির ৫৪ শতাংশই এসেছে বাংলাদেশে। ওই বছর ভারতীয় গমের শীর্ষ ১০ ক্রেতা ছিল বাংলাদেশ, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, কাতার, ইন্দোনেশিয়া, ওমান ও মালয়েশিয়া।

এমএম/