ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

পি কে হালদার ভারতে গ্রেফতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পিএম, ১৪ মে ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৬:০৪ পিএম, ১৪ মে ২০২২ শনিবার

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছে ভারতের দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সংস্থাটির দাবি শনিবার (১৪ মে) সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে  পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সন্ধানে ভারতের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করতেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে অশোকনগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার পিকে হালদারসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে অভিযান চালিয়েছে ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। তারা কয়েকটি অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন। বাড়িগুলো থেকে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে পিকে হালদারের ২০ থেকে ২২টি বাড়ি আছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।

পি কে হালদারের আয়কর আইনজীবী ছিলেন সুকুমার মৃধা। পিকে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সুকুমার মৃধাকে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে। দুদক তাকে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুকুমার মৃধার বিশাল বিলাসী বাড়ির সন্ধান পেয়েছে ভারতের ইডি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মৃধাকে তারা মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে চিনতেন। 

পি কে হালদার ও সুকুমার মৃধা অশোকনগরে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী। 

ইডি ধারণা করছে, এই দুইজনের দীর্ঘদিনের যোগসাজশে এনআরবির বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আরকে//