ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বিবাহিত হয়ে কিভাবে ছাত্রলীগের পদ পেলেন, জানতে চাইলে রেগে যান সুস্মিতা

ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১২:০৪ পিএম, ১৫ মে ২০২২ রবিবার | আপডেট: ১২:০৫ পিএম, ১৫ মে ২০২২ রবিবার

রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সহ-সভাপতি সুস্মিতার বাড়ৈর বিরুদ্ধে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। বিবাহিত হয়ে কিভাবে ছাত্রলীগের পদ পেলেন এই বিষয়ে জানতে চাইলে রেগে যান সুস্মিতা। 

তিনি বলেন, যদি কোন সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে নিউজ করে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে মামলা করবো৷ কাবিননামা নীলক্ষেতে গেলে একশ’ টাকা দিয়ে বানানো যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

শুক্রবার (১৩ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়৷ 

কমিটিতে সহ-সভাপতি পদ পেয়েছেন সুস্মিতা বাড়ৈ৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে সে বিবাহিত৷ ২০১৮ সালের ১ জুলাই চিরনজিৎ রায় নামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন সুস্মিতা৷ নোটারি পাবলিকের কার্যালয় থেকে করা ‘হিন্দু বিবাহের হলফনামা’র সেই রেজিস্ট্রেশন কপি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে৷  

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত কেউ ছাত্রলীগের পদ পেতে পারেন না৷ তবে গঠনতন্ত্রকে উপেক্ষা করেই পদ পেয়েছেন তিনি৷ 

তবে চিরনজিৎ রায় তার বয়ফ্রেন্ড বলে স্বীকার করেন তিনি৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইডেন মহিলা কলেজের নতুন কমিটির এক সহ-সভাপতি বলেন, সুস্মিতা বিবাহিত এটা ক্যাম্পাসের সবাই জানে৷ ওর বিয়ের কাবিননামাও অনেকে দেখেছে৷ বিবাহিত হয়েও সে কিভাবে পদ পেলো জানিনা৷ 

এছাড়া ইডেন মহিলা কলেজের সর্বশেষ কমিটির কয়েকজন যুগ্ম আহবায়কও সুস্মিতা বিবাহিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷ 

সুস্মিতা বাড়ৈর বিরুদ্ধে ইডেনে সিট বাণিজ্য, ছাত্রীদের মারধরসহ নানা অভিযোগ রয়েছে৷ এসব কারণে তিনি বেশ কয়েকবার খবরের শিরোনামও হয়েছেন৷ 

ইডেন কলেজের সামনে থেকে এক পথচারীকে পেটানোর অভিযোগ ওঠে সুস্মিতাসহ আরও দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে৷ এ নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি ‘ছাত্রলীগ পরিচয়ে নারীকে পেটানোর অভিযোগ ইডেনের তিন ছাত্রীর বিরুদ্ধে’ শিরোনামে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়৷ 

এবিষয়ে জানতে কলেজ দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার কল দিলেও তাঁরা কেউই কল রিসিভ করেননি৷

এএইচ/