গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর আত্মহত্যা, যুবক গ্রেফতার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩৩ পিএম, ১৫ মে ২০২২ রবিবার
পিরোজপুরের নাজিরপুরে গণধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মো. সজল মোল্লা (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৫ মে) ভোরে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বানারজোড় গ্রাম থেকে সজলকে গ্রেফতার করে নাজিরপুর থানা পুলিশ। সজল বানারজোড় গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে শনিবার (১৪ মে) সকালে নাজিরপুর উপজেলার একটি গ্রাম থেকে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভুক্তভোগী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারের সময় তার মরদেহ আম গাছে ঝুলছিল।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদী হয়ে মো. জিসান (২৭) ও সজল মোল্লাসহ তিনজনের নাম উল্লেখ ও আরও দুজনকে অজ্ঞাত আসামি করে গণেধর্ষণের অভিযোগে নাজিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
সজল এ মামলার দুই নম্বর আসামি। মামলার প্রধান আসামি জিসান উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের ততুবাড়ি গ্রামের আ. জলিলের ছেলে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী বিভিন্ন সময় কেনা-কাটার জন্য গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় যাতায়াত করতেন। জিসান তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতেন। গত শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে ভুক্তভোগী কোটালিপাড়া গেলে জিসান তাকে ফের কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় জিসান। সেখানে সজলসহ পাঁচজন তাকে গণধর্ষণ করে কোটালিপাড়ার লিংক রোড এলাকায় ফেলে রেখে যায়। এতে ক্ষোভে ও লোক লজ্জায় ভুক্তভোগী আত্মহত্যা করেন।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় তার স্বামীর করা মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কেআই//