চাঁদের মাটিতে চারাগাছ গজালো
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩৪ পিএম, ১৭ মে ২০২২ মঙ্গলবার
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা চাঁদ থেকে আনা মাটিতে বীজ রোপন করেছিলেন৷ সেখান থেকে চারাগাছ জন্মালেও প্রবৃদ্ধির হার বেশি ছিল না৷ তবে হয়ত একদিন চাঁদে ফসল ফলানো সম্ভব- এটা তারই লক্ষণ৷
১৯৬৯ ও ১৯৭২ সালের তিনটি অ্যাপোলো মিশন চাঁদ থেকে মাটি সংগ্রহ করেছিল৷ মার্কিন মহাকাশ সংস্থার নাসার কাছে আবেদন করে ১২ গ্রাম চাঁদের মাটি পেয়েছিলেন গবেষকরা৷
এরপর এক গ্রাম কন্টেনারে অ্যারাবিডপসিস জাতের গাছের বীজ রোপন করা হয়৷ পাশাপাশি আগ্নেয়গিরির ছাইয়েও কিছু বীজ লাগান তারা৷
এরপর গবেষকরা দেখতে পান ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে চাঁদের মাটি ও আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে লাগানো বীজ থেকে চারাগাছ গজিয়েছে৷ কিন্তু কয়েকদিন পর দেখা যায় ছাইয়ের চেয়ে চাঁদের মাটিতে জন্মানো চারাগাছের বৃদ্ধি কিছুটা কম৷
গবেষণার ফলাফল কমিউনিকেশন্স বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷
প্রতিবেদনের সহলেখক রব ফার্ল বলেন চাঁদের মাটিতে চারাগাছ যে গজিয়েছে সেটিই একটি ইতিবাচক বিষয়৷
তবে পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া গাছ চাঁদের পরিবেশে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা৷
চাঁদে ফসল ফলানো সম্ভব হলে সেখানে মিশনে যাওয়া নভচারীরা নিজেদের খাবার নিজেরাই ফলাতে পারবেন৷ এছাড়া বাতাস বিশুদ্ধ করতে ও বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সরাতে এটি নভচারীদের সহায়তা করবে৷
এবছরই আর্টেমিস কর্মসূচির আওতায় চাঁদে একটি মিশন পাঠাচ্ছে নাসা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা৷ যদিও সেখানে কোনো নভচারী থাকছেন না৷ তবে চলতি দশকের শেষ নাগাদ চাঁদে নভচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এসবি/