অনলাইনে কোর্স রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১১ এএম, ১৮ মে ২০২২ বুধবার
অনলাইনে কোর্স রেজিস্ট্রেশন করবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। পর্যায়ক্রমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যান্য কার্যক্রমও অনলাইনের আওতায় আনা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে ‘অনলাইন কোর্স রেজিস্ট্রেশন ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।
ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন এবং আইসিই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ আশিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন,শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো: আবু নছর মিয়া, ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট ড. মোঃ আনিসুজ্জামান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মোঃ মজনুর রহমান, হযরত বিবি খাদিজা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গাজী মোঃ মহসিন, নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বে ) মো. জসীম উদ্দিন এবং আইসিই বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম এটি নির্মাণের সাথে যুক্ত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে এ ধরণের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রসংশনীয়। অনলাইন কোর্স রেজিস্ট্রেশন সাইটটি তৈরির জন্য আইসিই বিভাগের সবাইকে আবারও ধন্যবাদ জানাই, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
নোবিপ্রবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে কোর্স রেজিস্ট্রেশন করার সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে আইসিই বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ আশিকুর রহমান খান, ওই বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ খলিলুর রহমান এবং জানে আলম এর সমন্বয়ে গঠিত টিম এই প্রজেক্ট তৈরি করেন।
এসময়ে উপাচার্য অনলাইন কোর্স রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন এবং এই সিস্টেমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পর্যায়ক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের সার্টিফিকেট উত্তোলন, লাইব্রেরি ও হল সংক্রান্ত সবধরণের অনলাইন সুবিধা প্রদান করার পাশাপাশি শিক্ষকদের নিয়োগ, পদোন্নতি, শিক্ষাছুটি ও নথি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ অনলাইনে করার সুবিধা প্রদান করবে এই সিস্টেম।
এছাড়াও ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল কার্যক্রম এই সিস্টেমের আওতাভুক্ত করা হবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অত্যন্ত সহজ, সাবলীল এবং হয়রানি মুক্তভাবে যে কোনো কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। এতে করে সবার সময় বাঁচবে এবং কর্মসক্ষমতা ও কার্যকারিতা বাড়বে।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে সহায়তা করেছেন আইসিই প্রোগ্রামিং ক্লাব, আইসিই স্পোর্টস ক্লাব এবং বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ।
কেআই//