সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৭ এএম, ১৮ মে ২০২২ বুধবার
উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টির পানিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সুরমা নদীর তীর উপচে পানি ঢুকে পড়েছে সিলেট নগরীর বেশ কিছু এলাকা। প্রায় ১৮ বছর পর সিলেট নগরে বন্যার পানি ঢুকল। সুনামগঞ্জ শহরেরও নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সব পয়েন্টেই ছাড়িয়েছে বিপদসীমা। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। জেলার ১৩টি উপজেলার অন্তত ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বিভিন্ন সড়ক ডুবে যাওয়ায় উপজেলা ও জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, অনেক সরকারি কার্যালয়েও ঢুকেছে বন্যার পানি।
সর্বশেষ ২০০৪ সালে সিলেট নগরীর অনেক এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। এরপর প্রতি বর্ষায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও এবারের মতো সুরমা উপচে নগরী বন্যাকবলিত হয়নি।
বানবাসিদের জন্য সরকারীভাবে খোলা হয়েছে ১৯৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সদর উপজেলার সাথে বিভিন্ন অঞ্চলের মূলসড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে। এছাড়া গত এক সপ্তাহ রোদ না থাকায় মাড়াই করা ধান শুকাতে পারছেন না হাওরের কৃষকরা। ধান শুকাতে না পারায় পাকা ধান পচে নষ্ট হচ্ছে।
এসবি/