শিশু আরাফ হত্যায় ৩ আসামির ফাঁসির আদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৯ পিএম, ১৮ মে ২০২২ বুধবার
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই বছরের শিশু আবদুর রহমান আরাফ হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বাড়ির মালিককে ফাঁসাতে গিয়ে পানির ট্যাংকে ফেলে আরাফকে হত্যা করে আসামিরা।
বুধবার (১৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ আরাফ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার নির্ধারিত তারিখ ছিল। তিন আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. ফরিদ, মো. হাসান ও হাসানের মা নাজমা বেগম। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে আরাফের পরিবার।
আরাফের বাবা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, তিন আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এখন আমরা এই রায়ের দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। কোনো মা-বাবা যেন আর সন্তানহারা না হয়। আমাদের মতো যেন কেউ আঘাত না পায় এ জন্য এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি ফরিদের সঙ্গে ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল। ফরিদের প্রলোভনে ছেলে হাসানের সহায়তায় নাজমা বেগম আরাফকে হত্যা করে বলে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
২০২০ সালের ৭ জুন বাকলিয়া ম্যাচ ফ্যাক্টরি রোডে নুরুল আলম মিয়ার বাড়ির ছাদের ট্যাংক থেকে আবদুর রহমান আরাফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আরাফ ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া আবদুল কাইয়ুমের ছেলে।
আরও জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকালে ঘরের সামনের পার্কিং থেকে ভবনের ছাদে নিয়ে গিয়ে পানির ট্যাঙ্কিতে ফেলে আরাফকে হত্যা করে আসামিরা।
হত্যার পর ভবনটির বাসিন্দা নাজমা বেগম, তার ছেলে বাড়ির দারোয়ান হাসান ও তাদের পাশের ভবনের বাসিন্দা ফরিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জবানবন্দিতে নাজম বেগম বলেছিলেন, পাশের ভবনের বাসিন্দা ফরিদের প্রলোভনে বাড়িওয়ালা নুরুল আলমকে ফাঁসাতে আরাফকে হত্যা করা হয়। ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় অর্থের লোভ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।
এইচ/