মুশফিকুর রহিমের ‘বিদায়’ ইস্যুতে তার স্ত্রী যা লিখলেন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:১৪ পিএম, ১৮ মে ২০২২ বুধবার
মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আজ ছুঁয়েছেন পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক। একই দিনে তিনি তুলে নিয়েছেন অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি।
প্রায় ২ বছর ও ১৮টি টেস্ট ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশফিক।
ঠিক তার পরপরই মুশফিকুর রহিমের স্ত্রী জান্নাতুল মন্ডি নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মুশফিকুরকে অভিনন্দন জানিয়ে দুটি ছবি পোস্ট করেন যেখানে তিনি লেখেন, আমরা হাসিমুখেই বিদায় নিবো ইনশাআল্লাহ। তবে আপনাদের রিপ্লেসমেন্ট আছে তো?? সেদিকেও একটু নজর দিলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন হতো।
এমন একটা সময়ে মুশফিকের পরিবার থেকে এই বার্তা এল যার কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে একটি বৈঠক করে, যেখান থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘সিনিয়র ক্রিকেটারদের উচিৎ নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা।’
সেদিন তিনি মুশফিকুর রহিমের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করে বলেন, ‘মুশফিক এখনো খেলছে। কিন্তু ওর চিন্তা ভাবনা জানা যাবে। ও কী ভাবছে, আমরা জানতে পারবো।’
মূলত কোনও ফরম্যাটে ক্রিকেটারের সরে যাওয়ার বিষয়টি তোলার পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পর সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিদায়ের ব্যাপারটিই বেশি আলোচিত হয়ে আসছে।
২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর দলে জায়গা হারিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তিনি দলে ফিরেছেন। দল থেকে বাদ পড়ার পর মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন মুশফিক, নির্বাচকরা তখন 'বিশ্রাম' বললেও আসলে তাকে 'বাদই' দেয়া হয়েছিল বলেছিলেন তিনি।
এর আগে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে টেস্ট ফরম্যাটে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
২০১৭ সাল থেকে রিয়াদের টেস্ট দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তখন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের শততম টেস্ট ম্যাচে তাকে একাদশের বাইরে রাখেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১০ থেকে ২০১৮ - টানা আট বছর টেস্ট ফরম্যাটে কোনও সেঞ্চুরি পাননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
এরপর ২০১৯-২০ সালে নানা সময়ে টেস্ট দলে রিয়াদের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তিনি জিম্বাবুয়ের মাটিতে ১৫০ রানের একটি ইনিংস খেলার পর অবসর নিয়ে নেন। যদিও টেস্ট ফরম্যাটে অবসর নিয়ে কখনোই সেভাবে মুখ খোলেননি তিনি।
হারারেতে ২০২১ সালের জুলাই মাসে সতীর্থরা 'গার্ড অফ অনার' দিয়ে মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমে নিয়ে যান, যা দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় তিনি আর টেস্ট ম্যাচ খেলছেন না।
এসি