ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নবীনগর পৌরবাসী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:১৭ এএম, ১৯ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার প্রধান সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী। দীর্ঘদিন যাবত নবীনগর সদরের প্রবেশ মুখে আবর্জনা ফেলার কারণে তোদের দুর্ভোগের শেষ নেই। আবর্জনার বিষাক্ত বর্জে্য দূষিত হচ্ছে তিতাস নদীর পানিও।
দীর্ঘদিন যাবত ৫নং ওয়ার্ডের পৌর কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে আবর্জনা ফেলে আসছে। এখানে বাজারের পচা মাছ, মুরগির নাড়িভুড়ি, নষ্ট সবজি, বাসাবাড়ির সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে যাত্রী সাধারণ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পথ চলা দায়।
এজন্য পৌর প্রশাসনের গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতাকে দোষারূপ করছেন পৌরবাসি।
নবীনগর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নবীনগর পৌরসভা খ শ্রেণি থেকে বর্তমানে ক শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এখনও যথাযথ উন্নয়নে পৌঁছাতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালে পৌর এলাকার কনিকাড়া ব্রিজ সংলগ্ন ৩৬৫ শতক জায়গা অধিগ্রহণ তরে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য।
নবীনগর খাদ্য গুদামের এক কর্তৃপক্ষ বলেন, “আবর্জনার দুর্গন্ধে শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না। এ বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে”।
মাঝিকাড়া বাজারের ফার্ণিচার ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বলেন, “পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে দোকানে বসে ব্যবসা করতে পারতেছি না, খুব বাজে দুর্গন্ধ। আমার মত সকল ব্যবসায়ীদের একই সমস্যা। পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিলে এ দুর্গন্ধে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়বে।”
অটোরিক্সা চালক রমজান মিয়া বলেন, “ময়লার খারাপ গন্ধে অটো চালাইতে পারি না। আমরা গরিব মানুষ, মুখ খুইল্লা মেয়র-কমিশনারের বিরুদ্ধে কোন কথা কইবার পারি না। এই ময়লা সড়ানো খুবই দরকার।”
এ ব্যাপারে নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শংকর দাস বলেন, “পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ইতিমধ্যে ১৩ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং ডাম্পিং প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে, অচিরেই পৌর এলাকাবাসি এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন।”
এদিকে নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক সংগঠন নোঙরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে কয়েকবার মানববন্ধন করা হয়েছে। জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আশ্বস্ত করলেও তেমন কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “নোঙর'র আশা করছে নদী পাড়ের ময়লা-আবর্জনা অতিসত্বর অপসারণ ও নদীর জায়গায় অবৈধ দখল উচ্ছেদের দ্বায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হবেন।”
এএইচ/