কালবৈশাখী ঝড়ে নওগাঁয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৯ পিএম, ২১ মে ২০২২ শনিবার
নওগাঁয় কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে লন্ডভন্ড হয়েছে অসংখ্য গাছপালা। ঝড়ে পড়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমির আম। পাশাপশি ধানসহ অন্যান্য ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয়ে প্রায় ৪০ মিনিট জেলার পত্নীতলা, ধামইরহাট, মহাদেবপুর, বদলগাছী ও সদর উপজেলার আংশিক এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যায় বৈশাখী ঝড়। এর আগে শুক্রবার রাতে জেলার পোরশা, সাপাহার, নিয়ামততপুর, মান্দা, আত্রাই ও রানীনগর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় ঝড়। একদিনের ব্যবধানে বয়ে যাওয়া ঝড়ে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এসব এলাকার বাড়ি ঘরের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় এখন মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে ভোর থেকেই। বেশ কিছু মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হটাৎ এই ঝড়ে জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে উপড়ে ও ভেঙে পড়ে আছে বড় বড় গাছ। উপড়ে পড়া ও ভেঙ্গে যাওয়া গাছ অপসারণের লোকের সঙ্কটও দেখা দিয়েছে। অনেকেই গাছ কাটা শ্রমিকের খোঁজে ছুটাছুটি করছেন।
ধামুরহাট উপজেলার ইসবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল আলম লাকি বলেন, 'আমার ইউনিয়নের ২৯টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ১২ শত বসতবাড়ীর টিন উড়ে গেছে।'
সাপাহার উপজেলার হাইহাই ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর জামান টিটু বলেন, 'ভোর রাতে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৯ শতাধিক ঘরের চাল উড়ে ও গাছ ভেঙে সড়কে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে গাছপালা সরানো হয়েছে।'
মহাদেবপুর উপজেলার কৃষক আনিছুর রহমান বলেন আমার ৫ বিঘা জমির কলা বাগান নিমিষেই বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন আমার পথে বসার উপক্রম হয়েছে। পোরশা উপজেলার গাংগুরিয়া গ্রামের আম চাষী আজিহজুল হক বলেন আমার তিনশ' বিঘা জমিতে আম বাগান রয়েছে। এসব বাগানের তিন ভাগের এক ভাগ আম ঝড়ে পড়ে গেছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুল ওয়াদুদ বলেন, বিভিন্ন উপজেলায় কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে জেলার প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমির আম, ৫০ হেক্টর জমির কলা, ৫০ হেক্টর শাক-সবজিসহ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে নওগাঁ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক, উত্তম কুমার রায় বলেন, 'ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিরবণ ও পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপণের জন্য স্থানীয় বিভাগের লোকজন মাঠে কাজ করছেন।
কেআই/