ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বদলে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ২২ মে ২০২২ রবিবার

মূল বেদি ঠিক রেখে বদলে যাচ্ছে পুরো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের মহাপরিকল্পনায় নতুন আঙ্গিকে সাজছে ঐতিহ্যের স্থাপনাটি। শহীদ মিনারের উল্টোদিকে বাড়ানো হচ্ছে উন্মুক্ত চত্তর, যাতে যুক্ত হবে শিববাড়ি আবাসিক এলাকার বড় একটা অংশ এবং দুটি সড়ক। 

বাঙালি জাতিসত্তার আইকনিক স্থাপনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। জাতীয় দিবস তো বটেই, বছরজুড়েই আন্দোলন-সংগ্রাম কিংবা সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সরব থাকে ভাষাশহীদের স্মৃতির মিনারটি। 

অবকাঠামোটি চার একর জমিতে। মূল বেদি ছাড়াও দেড় একরের একটিমাত্র চাতালে বড় মাপের গণজমায়েতে স্থান সঙ্কুলান হয় না। আবার, এর ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সব আয়োজন জুতসইও নয়। অহরহই মিনারের পবিত্রতা নষ্ট তো হয়েই চলছে। 

প্রস্তাবিত পরিকল্পনা মতে, টিএসসি থেকে জগন্নাথ হল আর শিববাড়ির মাঝে দুই দশমিক সতের একরের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকাটি খালি করে মূল চাতালের সাথে উন্মুক্ত চত্তরের অংশে পরিণত হবে। 

দুটি সড়কে বাইরের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে নিজস্ব সড়ক করা হবে। থাকছে না পলাশির দিকের রাস্তাটিও। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, “শহীদ মিনারের পাশে যে আবাসনটি আছে সেটি জাতীয় প্রয়োজনে এবং শহীদ মিনার যেহেতু একটি আন্তর্জাতিক স্থাপনা, সে বিবেচনায় শহীদ মিনারকে আরও বেশি যেন উন্মুক্ত করে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে একটি চত্তর সৃষ্টি করার মাস্টার প্ল্যানে রাখা হয়েছে।”

এই শহীদ মিনার অসংখ্যবার ভাংগা-গড়া হয়েছে কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার এখনও গড়ে ওঠেনি। যদিও এই শহীদ মিনারটি এখন আর আমাদের জাতীয় স্থাপনাই নয় এটি সারাবিশ্বের মানুষের কাছে একটি স্মরণীয় স্থান এবং প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এই স্থাপনাটি দেখতে আসেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে পরিকল্পনা নিয়েছে পরিসর বাড়ানোর সেটি বাস্তবায়ন হলে সেটি অর্জিত হবে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

মূল বেদির পেছনের অংশে গাছের বেষ্টনী আর দুই পাশে দুটি সবুজ চত্তর তৈরি হবে। মেডিকেল সেন্টারের উত্তর দিকে ছোট্ট পুকুরটি সম্প্রসারণে তৈরি হবে দৃষ্টিনন্দন লেক। রাসেল টাওয়ার, শিববাড়ি মন্দির, বাংলা একাডেমির পাশ দিয়ে নব্বই দশক পর্যন্ত চালু থাকা সংযোগ সড়কটি ফের চালুর প্রস্তাব রয়েছে পরিকল্পনায়। 

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল আরও বলেন, “বিস্তৃত একটি চত্তর সেখানে সৃষ্টি করা হবে। যাতে করে সংস্কৃতিমনা মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড সেখানে পরিচালনা করতে পারেন, প্রতিবাদ যারা করবেন তারাও যেন শহীদ মিনারের প্লাজা ব্যবহার করতে পারেন এবং সেখানে এসে তাদের অবসর কাটাতে পারেন। এই ধরনের নানাবিধ পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

শহীদ মিনারে প্রবেশে পশ্চিম-দক্ষিণ দিকে ও বের হতে পূর্ব-দক্ষিণে দুটি পথ তৈরির কথা রয়েছে। কিন্তু, এই অংশের জমি ঢাকা মেডিকেল কলেজের হওয়ায় বিষয়টির সুরাহা এখনও হয়নি। 

এএইচ