ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

তেলের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে সরিষা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৬ পিএম, ২২ মে ২০২২ রবিবার

ভারতের রাজস্থান থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে এই প্রথম সরিষার আমদানি শুরু হয়েছে। দেশের বাজারে তেলের চাহিদা মেটাতে মূলত বিভিন্ন স্থানের মিলগুলো এসব সরিষা আমদানি করছেন। 

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে চলতি বছরের ১৪ মার্চ প্রথমবারের মতো ভারত থেকে সরিষা আমদানি শুরু হয়। ভারতের রাজস্থান থেকে এসব সরিষা আমদানি করা হচ্ছে। গাইবান্ধার মামা ভাগনা অয়েল মিল ও জামাই ভ্যারাইটি স্টোর এসব সরিষা আমদানি করছেন। যা ভারতের রাজস্থানের মারুতি উদ্যোগ নামের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব সরিষা রফতানি করছেন। প্রতি টন সরিষা ১ হাজার ৫০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে ১ হাজার ৮০ মার্কিন
ডলার মুল্যে আমদানি করা হচ্ছে। বন্দর দিয়ে ১৪ মার্চ থেকে এই পর্যন্ত ৫৮৭ টন সরিষা আমদানি হয়েছে। এসব সরিষা ১শ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে দেশের বাজারে।

সরিষা আমদানিকারকের মনোনীত সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আহমেদ কবির বাবু বলেন, বন্দর দিয়ে পূর্বে সরিষা আমদানি না হলেও সম্প্রতি হিলি স্থলবন্দর প্রথমবারের মতো ভারত থেকে সরিষা আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। দেশে সয়াবিন তেলের উদ্ধমুখির কারনে সরিষার তেলের উপর চাপ বাড়ায় এর চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সেই পরিমান দেশে সরিষা না থাকায় ও দাম বেশি হওয়ায় দেশের বাজারে সরিষার তেলের চাহিদা মেটাতে আমদানিকারকগণ এই সরিষা আমদানি করছেন। যতদিন পর্যন্ত দেশের বাজারে এই সরিষার চাহিদা থাকবে ততদিন পর্যন্ত সরিষা আমদানি অব্যাহত রাখবেন আমদানিকারকরা। তবে বর্তমানে ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে এটি কাটিয়ে উঠলে আমদানি বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম নুরুল আলম খান বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সম্প্রতি ভারত থেকে সরিষা আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। তবে এই সরিষা আমদানিতে এর উপর কোন শুল্ক না থাকায় সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবেই আমদানি হচ্ছে। যেহেতু এটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য তাই বন্দরে আসা মাত্র সিআ্যন্ডএফ এজেন্টগণ পেপার সাবমিট করলে দ্রুত পণ্যটির পরিক্ষণ শুল্কায়ন সম্পন্ন করে দ্রুত ছাড়করণ দেওয়া হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে নতুন করে সরিষা আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে বন্দরের দৈনন্দিন আয় যেমন বেড়েছে তেমনি বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের আয় আগের তুলনায় বেড়েছে।
কেআই//