অর্থপাচারের বড় মাধ্যম ক্রিপ্টোকারেন্সি (ভিডিও)
তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ২৪ মে ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:০২ পিএম, ২৪ মে ২০২২ মঙ্গলবার
বিশ্বজুড়ে অর্থপাচারের বড় মাধ্যম হয়ে উঠছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। মাত্র এক বছরে ভূতুড়ে এই মুদ্রায় অর্থপাচার বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। ঝুঁকি বাড়ছে বাংলাদেশেও। তাই ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ অর্থনীতিবিদ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের।
ক্রিপ্টোকারেন্সি, ভার্চুয়াল মুদ্রার জেনেরিক নাম। এই মুদ্রার বিপরীতে কোনো সম্পদের গ্যারান্টি নেই। তবুও প্রায় ৪ হাজার ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈধ-অবৈধ লেনদেন হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। যার মধ্যে বিট কয়েনের আধিপত্য একচ্ছত্র।
পৃথক ব্লকচেইনে লেনদেন হয় অস্তিত্বহীন এই ভূতুড়ে মুদ্রায়। গোপন থাকে লেনদেনকারীর নাম-পরিচয়। তাই অর্থপাচার, মানবপাচার, মাদক-অস্ত্র ব্যবসাসহ বৈশ্বিক অপরাধ জগতে বিট কয়েনের কদর বাড়ছে।
ব্লকচেইন ডাটা কোম্পানি চেইনা-লাইসিস বলছে, বিশ্বজুড়ে গত পাঁচ বছরে কমপক্ষে ৩৩ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে। এরমধ্যে ৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয় ২০২১ সালে। আগের বছরের চেয়ে যা ৩০ শতাংশ বেশি।
এমন বাস্তবতায় অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশেও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থপাচারের ঝুঁকি বাড়ছে। সংশ্লিষ্টদের থাকতে হবে সর্বোচ্চ সতর্কতায়।
বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস ডিজি ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “এখনও বাংলাদেশে পপুলার মাধ্যম হচ্ছে ক্যাশ। ক্যাশ পেমেন্টের পরের স্তরে আছে চেকে পেমেন্ট, এর পরে আছে ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড। তারপরে এই ডিজিটাল মানি বা বিটকয়েন জাতীয় অনেক কিছু আসতে পারে। এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক উৎসাহী, তবে তাড়াতাড়ি বাস্তবায়নে যেতে চায় না।”
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “বিট কয়েন, এটার মূল্য বাড়তে বাড়তে এখন ৪০ হাজার ডলারে আছে। মাঝখানে এটা ৬৫ হাজার ডলারে উঠেছিল একটা কয়েনের দাম। কয়েক বছর আগে এটা হয়ত ৫-৬ হাজার ডলারে পাওয়া যেত। তবে বড় বড় বিনিয়োগকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করছে।”
তবে প্রযুক্তির সাথে এগিয়ে যেতে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে ডিজিটাল মুদ্রা বা ই-কারেন্সি প্রচলনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার পক্ষে তারা।
শিওরক্যাশ প্রধান নির্বাহী শাহাদাৎ খান বলেন, “অবৈধ টাকা ছাপিয়ে ছাপিয়ে কেন এত খরচ করা। যদি না ছাপিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের জন্য এটা মানানসই প্রজেক্ট হবে।”
বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিট-কয়েনের লেনদেন বৈধ নয়। লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
এএইচ