বার কাউন্সিলের ভোটে আ’লীগ ১০, বিএনপি ৪ পদে জয়ী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:০৩ পিএম, ২৬ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার
আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন-২০২২ এর ফলাফলে ১৪টি পদের বিপরীতে ১০টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল, আর ৪টিতে জয় পেয়েছে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল। তবে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল আগামী ২৯ মে ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বার কাউন্সিলের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে,বুধবার সারাদেশের জেলা বারগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ করা হয়। দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে গণনা করা হয়।
বার কাউন্সিলের ১৪ পদের মধ্যে যে ১০ পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন, তার মধ্যে সাধারণ পদ চারটি ও আঞ্চলিক পদ ছয়টি।
সাধারণ পদে সাদা প্যানেল থেকে এগিয়ে থাকা প্রার্থীরা হলেন- সৈয়দ রেজাউর রহমান, মোহাম্মদ এম সাঈদ আহমেদ রাজা, মো. মোখলেসুর রহমান বাদল ও মো. রবিউল আলম বুদু।
আঞ্চলিক পদে জয়ের পথে থাকা ছয়জন হলেন- আব্দুল বাতেন, মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন খান, এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, আনিস উদ্দিন আহমেদ সহীদ, একরামুল হক ও আব্দুর রহমান।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সাধারণ পদে এগিয়ে থাকা প্রার্থীরা হলেন- অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। আঞ্চলিক পদে এগিয়ে রয়েছেন এ এস এম বদরুল আনোয়ার (চট্টগ্রাম)।
বার কাউন্সিলের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনা করা হয়। এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারের বেশি। আগামী ২৯ মে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, তিন বছর পর পর বার কাউন্সিলের নির্বাচন হয়ে থাকে। অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে এ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হন। আর নির্বাচিত ১৪ সদস্যের মধ্য থেকে একজনকে ভাইস-চেয়ারম্যান করা হয়।
গত বছর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয়নি। ফলে গত বছরের আগস্টে এ কাউন্সিলের কার্যক্রম পরিচালনায় অ্যাডহক কাউন্সিল গঠন করা হয়।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর চলতি বছরের মার্চে নির্বাচনের জন্য ২৫ মে দিন ঠিক করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। নির্বাচনে তিনটি প্যানেল থেকে প্রার্থীরা নির্বাচন করছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও কংগ্রেসের আইনজীবীরা।
এমএম/