মেন্ডিসকে তামিমের ক্যাচ প্র্যাকটিস, ফিরলেন শান্ত-মোমিনুলও
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:০০ পিএম, ২৬ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ২৬ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার
শান্ত ও তামিম
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও দীনেশ চান্দিমালের জোড়া শতকে ১৪১ রানের লিড নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আবারো সেই রজিথার বলে শুরুতেই শূন্য রানে কট বিহাইন্ড হন মাহমুদুল হাসান জয়। যদিও লঙ্কানরা কোনোরকম আবেদন না করায় এ যাত্রায় বেঁচে যান টাইগার এই তরুণ ওপেনার।
তবে ষষ্ঠ ওভারেই প্রথম বলেই দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। সেই আসিথা ফার্নান্ডোর শিকার হয়ে এদিনও শূন্য রানেই ফেরেন টাইগার ওপেনার। ফলে মাত্র ১৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর ক্রিজে এসে রানের খাতা খুললেও আবারো সবাইকে হতাশ করেন নাজমুল হোসাইন শান্ত। দ্বিধাদ্বন্দ্বের মাঝে ঝুঁকিপূর্ণ রান নিতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন এই টপঅর্ডার। ফলে মাত্র ওই ২ রানেই থেমে যায় সম্ভাবনাময়ী ইনিংস। আর আগের দিনের মতো শূন্য রানেই আউট হলেন অধিনায়ক মোমিনুলও। যাতে ১৯ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে আবারো চাপে বাংলাদেশ।
এর আগে ইনিংসের প্রথম ওভারেই আউট হয়েও বেঁচে যান আরেক ওপেনার জয়। আলট্রাএজে দেখা যায়, স্পষ্টই ব্যাটের কানাই লেগে বল জমা পড়েছে নিরোশান ডিকওয়েলার বিশ্বস্ত গ্লভসে। তবে তিনি বা বোলার বা লঙ্কান অন্য খেলোয়াড়দের কেউই তা টের পাননি এবং কোনোরকম আবেদনও করেননি। ফলে আউট হয়েও বেঁচে গেলেন জয়।
আর প্রথম ওভারেই জীবন পেয়ে পরের ওভারে ফার্নান্ডোকে দুটি বাউণ্ডারি মেরে রানের খাতা খোলেন তরুণ ওপেনার। পরে আরও একটি বাউণ্ডারি মারেন জয়। তবে মাঝে সেই রজিথার বলে আরও একবার স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়ে জীবন ফিরে পান ডানহাতি এই ব্যাটার।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৮ ওভারে স্বাগতিকদের স্কোর ২ উইকেটে ১৯ রান। মাহমুদুল হাসান জয় ১৫ রানে এবং মোমিনুল হক শূন্য রানে ক্রিজে আছেন।
এর আগে দুই ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও দিনেশ চান্দিমালের জোড়া শতকে ঢাকা টেস্টে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় লিডই নিয়েছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা।
চতুর্থ দিনের শেষ সেশনের খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ বাদেই ১৬৫.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫০৬ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ ১৪১ রানের লিড নিয়েছে সফরকারীরা।
দীনেশ চান্দিমাল ১২৪ রানে করে এবাদতের শিকার হন তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তবে ১৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন চট্টগ্রাম টেস্টে ১৯৯ রানে আউট হওয়া ম্যাথিউজ। তার হার না মানা এই ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও দুটি ছক্কার মার। আর চান্দিমালের ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও একটি ছক্কা।
বাংলাদেশে পক্ষে নিজের ৬১তম টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৯তম পাঁচ উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান। আর ৪টি উইকেট শিকার করেন এবাদত হোসাইন।
এনএস//