ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

সেই লিটন-মুশফিকেই আশা দেখছে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১৪ পিএম, ২৬ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার

আবারো ত্রাণকর্তার ভূমিকায় সেই মুশফিক ও লিটন

আবারো ত্রাণকর্তার ভূমিকায় সেই মুশফিক ও লিটন

চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে গিয়ে শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করতে পারে বাংলাদেশ। যদিও তার আগেই প্রথম বড় ব্যবধানে এগিয়ে যায় অতিথিরা। করুনারত্নেদের জন্য বাড়তি পাওয়া হয়ে এসেছে স্বাগতিক ব্যাটারদের টানা ব্যর্থতা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাংলাদেশ।

যার ফলে এখন রীতিমতো পরাজয়ের প্রহর গুনছে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। যদি প্রথম ইনিংসের সেই লিটন-মুশফিক জুটিতেই আশা দেখছে বাংলাদেশ।

এদিন টানা দুই সেশন চরমভাবে ভোগার পর তৃতীয় সেশনে এসে স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। ম্যাথিউজ ১২৩ এবং চান্দিমাল ১২০ রান নিয়ে শেষ সেশনে ব্যাট করতে নামেন। শুরুতেই এবাদত হোসাইনের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন চান্দিমাল। আগের সেশনের সঙ্গে মাত্র ৪ রান যোগ করতে পারেন সাবেক অধিনায়ক।

চান্দিমালের বিদায়ের পরই যেন মড়ক লাগে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে নিরোশান ডিকওয়েলা, রমেশ মেন্ডিস, প্রভিন জয়াবিক্রমা, আসিথা ফার্নান্ডোদের আসা-যাওয়া দেখেছেন ম্যাথিউজ। 

১০ ওভারের মধ্যেই বাকি পাঁচ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৫০৬ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। ১৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাথিউজ। ৯৬ রান খরচায় ৫ ব্যাটসম্যানকে ফেরান সাকিব আল হাসান। আর ৪টি উইকেট নেন এবাদত।

১৪১ রানে পিছিয়ে থেকে শুরুতেই তামিম ইকবালকে হারায় স্বাগতিকরা। কোনো রান করতে পারেননি এই বাঁহাতি ওপেনার। মোমিনুলও খুলতে পারেননি রানের খাতা। কাসুন রাজিথার শিকার হয়েছেন টেস্ট স্পেশালিস্ট এই ব্যাটার।

মাঝে রান আউটে কাটা পড়েন নাজমুল হোসাইন শান্ত। মাত্র ২ রান করতে পেরেছেন প্রতিভাবান এই ব্যাটার। আর দুবার জীবন পেয়েও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়। ফলে ২৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে আবারো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

যদিও এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি মুশফিক এবং লিটন। চতুর্থ দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান করেছে স্বাগতিকরা। মুশফিক ১৪ এবং লিটন ১ রান নিয়ে পঞ্চম দিনে ব্যাট করতে নামবেন। 

এর আগে টস জেতা বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের শুরুটা হয় খুব বাজে। দলীয় ২৪ রানেই প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটারকে হারায় লাল সবুজের দল। এরপরও মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাসের অনবদ্য জুটির কারণে ভালো পুঁজি পায় দলটি। ষষ্ঠ উইকেট এই দুইজন যোগ করেন ২৭২ রান। 

সর্বোচ্চ ১৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন করে মুশফিকুর রহিম। আর লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১৪১ রান। ৫ উইকেট নেন রাজিথা।

এনএস//