ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

মোবাইল ব্যবহারে এগিয়ে কাশ্মীরি নারীরা

আউয়াল চৌধুরী

প্রকাশিত : ০৯:৩৯ পিএম, ২৬ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:০০ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার

প্রযুক্তিতে এখন উন্নত হয়েছে কাশ্মীরি নারীরা। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভারতের অনেক জনবহুল এবং প্রগতিশীল শহরের তুলনায় মোবাইল ফোনের মতো প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের নারীরা।

ভারতের আর্থ-সামাজিক পরিসংখ্যানের তথ্য সরবরাহকারী স্বাধীন অনলাইন প্লাটফর্ম স্ট্যাট ইন্ডিয়ার তথ্য-উপাত্তে এই চিত্র উঠে এসেছে। তথ্য অনুসারে, জম্মু ও কাশ্মীরের ৭৫.২ শতাংশ নারীর একটি মোবাইল ফোন রয়েছে। যা ভারতের ১২তম অবস্থানে রয়েছে। 

অন্যদিকে দিল্লিসহ ভারতের মেট্রোপলিটন শহরগুলিতে ৭৩.৮ শতাংশ নারীর একটি মোবাইল ফোন রয়েছে। যার গড় জম্মু ও কাশ্মীরের নারীদের চেয়ে অনেক কম।

পরিসংখ্যানে আরও দেখা গেছে, জম্মু এবং কাশ্মীর ভারতের বেশ কয়েকটি মেট্রোপলিটন শহরের চেয়ে ২০ শতাংশ এগিয়ে রয়েছে। 

এই পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জম্মু ও কাশ্মীরের নারীদের অধিকার নিয়ে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে যেসব মিথ প্রচারিত ছিল তা এটি উড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে, ২০১৯ সালের আগস্টের আগ পর্যন্ত কাশ্মীরে যেখানে পুরুষ শাসন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল।

পরিসংখ্যানে স্পষ্ট দেখা যায়, যেসব রাজ্যগুলি কাশ্মীরের নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলছে- তাদের নারীদের অধিকাংশেরই মোবাইল ফোনের ওপর মালিকানা নেই। ভারতের উত্তর প্রদেশের ৪৬.৫%, হরিয়ানার ৫০.৪%, পশ্চিমবঙ্গের ৫০.১%, গুজরাটের ৪৮.১% এবং রাজস্থানের ৫০.২% নারীর মোবাইল ফোনের ওপর মালিকানা রয়েছে।

যাহোক, সর্বশেষ ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভেতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ রাজ্যেই নারীরা মোবাইল ফোনের ওপর মালিকানা লাভ করেছে।

২০১৫ সালের সমীক্ষায় দেখা যায়, মাত্র চারটি রাজ্যে ৭৫% নারীর মোবাইল ফোন রয়েছে। সেখানে সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতের ১২টি রাজ্যে ৭৫% এর বেশি নারীর মোবাইল ফোন রয়েছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের সর্বশেষ জরিপে জম্মু-কাশ্মীরের রেকর্ড ছিল ৫৪%। 

সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, উত্তরাখণ্ড, চণ্ডীগড়, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্র এবং মধ্যপ্রদেশের মতো শীর্ষ রাজ্যের সবগুলোতেই নারীদের মোবাইল ফোনের মালিকানার ক্ষেত্রে জম্মু এবং কাশ্মীরের থেকে পিছিয়ে রয়েছে। সূত্র: কাশ্মীরি অবজারভার

এসি