তালেবানী রাষ্ট্রের ভাবনা হুজি নেতার (ভিডিও)
আহমেদ বাবু
প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ২৭ মে ২০২২ শুক্রবার
বাংলাদেশে তালেবানী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম বাংলাদেশ হুজি’র প্রতিষ্ঠাতা মুফতি আব্দুল হাই আমির। এজন্য আফগানিস্তানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, যুদ্ধ করেছিলেন আফগান মুজাহিদ হয়ে। পরে বাংলাদেশে ফিরে কক্সবাজারে গড়ে তুলেছিলেন জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যদিও যৌথ বাহিনীর অভিযানে নস্যাৎ হয় জঙ্গিদের তৎপরতা।
মুফতি আব্দুল হাই ১৯৭৮ সালে নারায়নগঞ্জের দেওভোগ মাদ্রাসা থেকে হেফজ বিভাগে পড়ার পর ১৯৮১ সালে অবৈদ ভাবে ভারতের দেওবন্ধ দারুল উলুম মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করে।
এরপর ভারতের পার্সপোট তৈরি করে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশে ঘুরতে আসে। ফিরে গিয়ে পাকিস্থানের করাচির একটি মাদ্রসা থেকে ২ বছরের ইফতা কোর্স করে মুফতি টাইটেল গ্রহণ করে।
পরে ১৯৮৯ সালে পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তা যান। সেখানে কয়েকজন বাংলাদেশি জঙ্গি ও পাকিস্তানীদের সঙ্গে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে আব্দুল হাই।
র্যাব পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, "প্রতিবেশী দেশের নাগরিকত্ব এবং পাসপোর্ট নেন তিনি। পাকিস্তানের মুফতি টাইটেল নেওয়ার জন্য দুই বছরের যে কোর্স সেটি তিনি নেন এবং পাকিস্তান বর্ডার দিয়ে তিনি আফগানিস্তানে যান এবং বিভিন্ন অস্ত্র পরিচালনা শেখেন।"
আফগানিস্তানে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশীদের নিয়ে হুজি বি অর্থাৎ হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ নামে সংগঠন করে। প্রতিষ্ঠতা আমির হন মুফতি আবদুল হাই। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এসে হরকাতুল জিহাদের প্রচার শুরু করেন।
আল মঈন বলেন, "১৯৮৯ সাল থেকে ৯১ সাল পর্যন্ত তিনি আফগানিস্তানে যুদ্ধ করেন। সেখানে পাকিস্তানের হরকাতুল জিহাদের বিভিন্ন নেতাদের আন্ডারে যুদ্ধে অংশ নেন তিনি। এই নেতাদের তত্বাবধানে বাংলাদেশের আহ্বায়ক হিসাবে তাকে ৯১ সালে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।"
এর পরের বছর কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি মাদ্রাসায় ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন করে। আব্দুল হাই ও তার দুই সহযোগী অস্ত্র প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করত। পরে যৌথ বাহিনী ওই কাম্পে অভিযানে চালিয়ে ৪১ জনকে গ্রেফতার করলেও পালিয়ে যান আব্দুল হাই।
দীর্ঘ ১৭ বছর আত্মগোপনে থাকার পর নারায়নগঞ্জের ফতুল্লাহ থেকে আব্দুল হাইকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এসবি/