গাফ্ফার চৌধুরীর প্রতি সম্প্রীতি বাংলাদেশের শ্রদ্ধা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫১ পিএম, ২৮ মে ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৪:৫০ পিএম, ২৮ মে ২০২২ শনিবার
প্রয়াত বরেণ্য সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও গীতিকার আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের নেতৃত্বে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এছাড়া অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দারের নেতৃত্বে সম্প্রীতি বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট, ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ইউনিট ও অভিষেক ঘোষের নেতৃত্বে ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের পক্ষ থেকেও আলাদাভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অন্যদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী, অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপ্লব পাল, সাইফ আহম্মেদ, তাপস হালদার, অনয় মুখার্জী, প্রমুখ।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ প্রগতিশীল, সৃজনশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন অগ্রপথিককে হারালো। তার একুশের অমর সেই গান বাঙালি জাতিকে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তির আন্দোলনে অসীম সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছিল। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তাঁর কালজয়ী গান, গল্প-কবিতা-উপন্যাসেও প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবেন।
এর আগে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ পৌঁছায়।
শহীদ মিনারে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আবদুল গাফফার চৌধুরীর জানাজা হয়।
এরপর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আরেক দফা শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সন্ধ্যায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী গত ১৯ মে লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
এএইচএস//