শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সেনাদের বিশ্বব্যাপী সুনাম (ভিডিও)
অখিল পোদ্দার, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২৪ এএম, ২৯ মে ২০২২ রবিবার
লাইবেরিয়া, হাইতি, সিয়েরালিয়ন কিংবা আফ্রিকার দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চলসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করছে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী। শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অদম্য সেনাদের রয়েছে বিশ্বব্যাপী সুনাম।
১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অতঃপর ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ মিশনে দুটি অপারেশনে অংশ নেয়। সেই থেকে শান্তিরক্ষী মিশনে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় শান্তি ফেরাতে কাজ করছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনী।
সেনাসদরের ওভারসিজ অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম বলেন, “বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ থেকে আমরা গিয়েছি কিন্তু বিশ্বের অনেক জায়গায় ধর্মভিত্তিক সংঘাত রয়েছে। অর্থাৎ ক্রিশ্চিয়ান-মুসলমানদের মধ্যে সংঘাত রয়েছে সেই সমস্ত এলাকায় যেখানে তারা হয়ত একটা নির্দিষ্ট ধর্মের দেশ থেকে শান্তিরক্ষী গ্রহণ করছে না সেখানেও বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি।”
নৌবাহিনীর সদর দপ্তরের ওভারসিজ নৌ অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ক্যাপ্টেন মোস্তফা জিল্লুর রহিম খান বলেন, “বাংলাদেশের নৌবাহিনী ১৯৭৩ সালে প্রথম ইউএন মিশনে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৯৯৭ সালে ডেডিকেটেড একটি বোর্ড কুয়েত-ইরাকের বর্ডারে প্যাট্রোল করার জন্য নিয়োগ হয়েছিল। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টি দেশে ৬ হাজার ৩শ’ ৩৫ জন শান্তিরক্ষী মিশনে দায়িত্ব পালন করে আসছে।”
পুলিশ হেডকোয়ার্টারসের ডিআইজি (ওয়েলফেয়ার) মো. রুহুল আমিন বলেন, “গত ৩৩ বছরে ২১টি দেশে মোট ২২টি শান্তিরক্ষা কমিশনে বাংলাদেশ পুলিশ অংশগ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৭শ’ ৯৪ জন শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণ নিয়েছে।”
বাঙালি সেনাদের যুদ্ধকৌশল ইতিমধ্যে সমাদৃত জাতিসংঘের বিভিন্ন দফতরে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম বলেন, “কর্মক্ষেত্রে যে গ্রহণযোগ্যতা সেটার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে প্রদেয় যে কর্তব্য তার বাইরে গিয়ে মানবতার সেবায় কাজ করা।”
ক্যাপ্টেন মোস্তফা জিল্লুর রহিম খান বলেন, “ইউএন বাহিনীর যে ডিমান্ডগুলো আছে আমরা চেষ্টা করি সর্বোচ্চটা দিতে। আমাদের সেইলার, সোলর্জার অথবা এয়ারম্যান তারা যেন খুব ভাল পারফর্ম করতে পারেন।”
ডিআইজি (ওয়েলফেয়ার) মো. রুহুল আমিন বলেন, “আমরা শতভাগ পেশাধারী হিসাবে কাজ করি।”
পৃথিবীর বিভিন্ন মিশনে ভবিষ্যতেও কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় জানান সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ