মেট্রোরেলে উঠা-নামার রাস্তা নির্মাণে সৃষ্ট জটিলতার সমাধান (ভিডিও)
মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৭ এএম, ২৯ মে ২০২২ রবিবার
মেট্রোরেলের স্টেশনে উঠা-নামার রাস্তা নির্মাণে সৃষ্ট জটিলতার সমাধান পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া স্টেশনে আর থাকছে না সংকট। পাশাপাশি ক্ষতি থেকে রেহাই পাচ্ছেন ভূমি মালিকরাও। কি সে সমাধান, উত্তর রিপোর্টে।
গ্রীন গ্রাউন্ড আর বিল্ড-ইন সিটির পথে নির্মাণযজ্ঞ এক হবে না, এটাই স্বাভাবিক। দিয়াবাড়ির তিনটি এবং পল্লবীর দুটি স্টেশনে উঠা-নামার সিঁড়ি বানানো হয়েছে কোন জটিলতা ছাড়াই। রাখা গেছে মানুষের হাঁটার ফুটপাথও।
তবে, সমস্যা কাজিপাড়া ও শেওড়াপাড়ায়। সরকারি জমি নেই, বেশির ভাগই ব্যক্তিগত সম্পতি। ফুটপাথের ৭০ ভাগ চলে যায় সিঁড়ি আর লিফট বসালে।
এই বাস্তবতায় অনেকটা বেকায়দায় ছিলেন ভবন ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিকরা।
স্থানীয়রা জানান, “মানুষের চলতে ফেরতে খুব অসুবিধা। দোকান পর্যন্ত দেখা যায় না।”
এক দোকান মালিক বলেন, “নীচের সিঁড়ির কাজ তো ঠিকমত হচ্ছে না। যেমনটা তেমনই রয়েছে, বৃষ্টির পানি জমে যায়। সেই পানি উঠে দোকান তলিয়ে যায়।”
যেকোন ম্যাগা স্ট্রাকচার নির্মাণে জটিলতা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আর মেট্রোরেল এর ব্যতিক্রম নয়। নির্মাণ কাজে কয়েকটি স্টেশনে ঢোকা ও বেরুনোর পয়েন্টগুলো স্থান স্বল্পতায় সুবিধাজনক নয় বা আরামদায়ক হবে না। তবে ভূমি মালিকদের কোনপ্রকার ক্ষতি না করে প্রয়োজনে ফুটপাতের জমি কিনে এই সংকটের সুরাহা করার একটা পথ স্পষ্ট করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, “ফুটপাথের উপর এক্সিট সিঁড়িটা করছি। বাইরের অংশটা অ্যাকোয়্যার করে সেখানে ফুটপাথ করছি।”
প্রত্যেকটি ভবনে ‘সেট ব্যাক’ ভূমি রাখার শর্ত দেয়া আছে রাজউকের অনুমোদিত নকশায়। এই জায়গাগুলো ভূমির মালিকের হলেও সরকার চাইলে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে, এমনটাই আইনের বিধান।
এম এ এন ছিদ্দিক আরও বলেন, “আমাদের যদি জায়গা থেকে থাকে তাহলে হয়ত কয়েক মিটার করবো, জায়গা না থাকলে দুই মিটার করবো। যতটুকু সেট ব্যাক থাকার কথা এর বাইরে যাচ্ছি না। মূলত যে জায়গাটা ব্যবহার করছি সেটার মালিক যে হোক না কেন স্বাভাবিকভাবে সরকার যে কোন সময়ে ব্যবহার করতে পারে। আইনে সে প্রভিশন আছে।”
নতুন পরিকল্পনায়, একটি ফুটপাথ নির্মাণে এক থেকে সর্বোচ্চ তিন মিটার জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে।
এমআরটি লাইন সিক্স প্রকল্প পরিচালক বলেন, “কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ায় যদি অ্যাকোয়্যারের জায়গায় এক্সিট-এন্ট্রির সিঁড়ি করি তাহলে দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। তবে এখন যেভাবে করছি তাতে দোকান সব সুবিধা পাবে।”
নতুন পরিকল্পনায় কেউই ক্ষতিগ্রস্ত তো হবেই না বরং দুই মেট্রো স্টেশনের আশপাশে বাড়বে বাণিজ্যিক সুবিধা।
এএইচ