ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বিলাসী পণ্য নিষিদ্ধ করলেও সংকট হবে না (ভিডিও)

একরামুল হক, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত : ১২:৩৭ পিএম, ২৯ মে ২০২২ রবিবার

ফলমূল, বিস্কুট, চকলেট, কার্পেট, তৈজসপত্র, কিসমিসসহ ২২ ধরনের পণ্য আমদানি করতে প্রতিবছর ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব বিলাসী পণ্য আমদানি সাময়িক নিষিদ্ধ করলে দেশে কোনো সংকট হবে না।

চলতি অর্থবছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১০ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকার বিলাসবহুল পণ্যসামগ্রী আমদানি হয়েছে। গত অর্থবছরে আমদানি হয় ১১ হাজার ৯১৫ কোটি টাকার পণ্য। ডলার সংকট কাটাতে সরকার সম্প্রতি ১৩৫ ধরনের পণ্যের উপর উচ্চহারে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করেছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মো. তারেক হাসান বলেন, “যদি একেবারেই অত্যাবশীয় পণ্য নয় সেক্ষেত্রে ফরেন কারেন্সিতে একটু স্পেস পাব। আশা করছি, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে রাষ্ট্র এবং দেশ উপকৃত হবে।”

যেসব পণ্যের ওপর সম্পূরক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ হয় সেগুলোই বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে বিবেচিত। যেমন- বিভিন্ন ফলমূল, কফি, চকলেট, বিস্কুট, প্রসাধন সামগ্রী, আসবাব, বিলাসবহুল গাড়ি ইত্যাদি।

যুগ্ম কমিশনার মো. তারেক হাসান আরও বলেন, “সরকার গত ২৩ মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যেখানে বিলাসবহুল পণ্যের ওপর নতুন করে ডিউটি আরোপ করা হয়েছে।”

বিলাসবহুল পণ্য আমদানির উপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করায় খুশি ব্যবসায়ী নেতারা। এতে ডলার সংকট কমে আসতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “বিলাসবহুল যেগুলো আছে সেগুলোর ওপর ডিউটি ট্যাক্স বসিয়ে দিয়ে এগুলোকে নিরুৎসাহিত করা হয়। আমাদের এখন বড় দরকার ওয়ার্ল্ডওয়াইড এসেনশিয়াল কমিউনিটি।”

১৩৫ ধরনের পণ্যের উপর উচ্চহারে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ হওয়ার পাশাপাশি দেশে উৎপাদন হয় বা একেবারে অপরিহার্য নয় এরকম পণ্য আমদানি বন্ধ করলে ডলার সংকট কমে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইসলামী ব্যাংক নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, “এতে আমদানি হ্রাস পাবে, তাতে ডলারের উপর চাপটা কমে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই রিজার্ভের উপরও চাপ কমবে।”

বিলাসবহুল পণ্য আমদানি করার জন্য ঋণপত্র খোলার সময় ব্যবসায়ীদের খরচের ৭৫ শতাংশ টাকা অগ্রিম জমা দিতে হয় বাণিজ্যিক ব্যাংকে। বিশেষজ্ঞদের আশা, এতে আমদানি কমে যাবে, মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

এএইচ