ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

লিফট আতঙ্কে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ৩০ মে ২০২২ সোমবার

চাবি দিয়ে লিফট খোলার চেষ্টা

চাবি দিয়ে লিফট খোলার চেষ্টা

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে লিফট আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

রোববার (২৯ মে) বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ ভবনের দুটি লিফটে আটকে পরেন ৭-৮ জন শিক্ষার্থী। লিফটের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিট আটকে থাকেন তারা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্ক্রিনে থার্ড ফ্লোর লেখা উঠে আছে। তবে থার্ড ফ্লোরের গেটে তাদের পাওয়া যাচ্ছিলো না। লিফট দুটি গেটের কাছে না আটকে দুই ফ্লোরের মাঝামাঝিতে আটকে যায়। ফলে চাবি দিয়ে বাহিরে থেকে প্রতিটি ফ্লোরে গিয়ে লিফট খোলা হলেও তারা বের হতে পারছিলেন না। 

এতে বাহিরে বা ভেতর থেকে তাদের আটকে পরার সুনির্দিষ্ট ফ্লোর নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিলো না।

লিফটে আটকে পরাদের মধ্যে ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজা পারভিন একজন। তিনি বলেন, ‘ক্লাশ শেষে ওয়াজেদ ভবনের ৫ম তলা থেকে নিচ তলায় নামার জন্য লিফটে উঠি। আমাদের লিফটে মোট দুজন ছিলাম। লিফট ৫ম তলা ও ৪র্থ তলার মাঝামাঝি এসে আটকে যায়। এরপর লিফট আর কোন কমান্ড নিচ্ছিলো না। তাতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পরি। তবে লিফটে থাকা হেল্প বাটনে ক্লিক করলে বাহিরে এলার্ম বেজে ওঠে।’

ভেতরে আটকে পরা অপরজন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আতিক লিফটে আটকে পরার বিষয়টি তার বন্ধুদের জানান। তারা বিভাগের স্টাফ আমিনুল ইসলামকে জানালে ভবনের গার্ড থেকে চাবি এনে লিফট খোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু লিফট মাঝামাঝিতে আটকে যাওয়ায় তাদের বের করা সম্ভব হচ্ছিলো না। 

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম কর্মী, নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং প্রক্টর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট সিস্টেম দুর্বল হয়ে পরায় এক প্রকার আতঙ্ক নিয়েই লিফটে ওঠেন তারা। মাঝেমধ্যেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা লিফটে নানাবিধ সমস্যায় পরেন বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। লিফট সিস্টেম হ্যাং হওয়ার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য লিফট দুটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রিস্টার্ট দেয়ার মাধ্যমে পুনরায় লিফট দুটি কাজ করতে শুরু করে এবং যারা আটকে পরে তারা সুস্থভাবে বের হয়ে আসে। 

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি দুই মাস পরপর লিফট দুটি সার্ভিসিং করা হয়। তারপরও কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা খুঁজে বের করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার সাথে কথা বলব এবং এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

এএইচ