ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

চীনকে সন্ত্রাসদমন নীতি পর্যালোচনা করতে বলল জাতিসংঘ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:২৫ পিএম, ৩০ মে ২০২২ সোমবার

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট।

চীনকে তার সন্ত্রাসদমন নীতি পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট। দেশটিতে ছয় দিনের সফর শেষে গত শনিবার তিনি এ কথা বলেছেন।

এক বিবৃতিতে সন্ত্রাস, মৌলবাদ এবং এর প্রয়োগের বিরুদ্ধে আইন ও নীতি সম্পর্কে বেশকিছু উদ্বেগের কথাও বলেছেন মানবাধিকার প্রধান।

তিনি বলেছেন, “উগ্রবাদের সহিংস কাজগুলো ক্ষতিগ্রস্থদের জীবনে ভয়ানক ও গুরুতর প্রভাব ফেলে। কিন্তু এটা গুরুত্বপূর্ণ যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে সাড়া দেওয়া যায় না। প্রাসঙ্গিক আইন ও নীতির প্রয়োগ, মানুষের উপর আরোপিত যেকোনো বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা, বিচারিক কার্যক্রমের অধিকতর স্বচ্ছতার সঙ্গে স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তত্ত্বাবধানে হওয়া প্রয়োজন। সমস্ত ভুক্তভোগীকে অবশ্যই প্রতিকার পেতে হবে।”

ব্যাচেলেট ২৩ থেকে ২৮ মে চীন ভ্রমণ করেন। পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে সশরীরে বৈঠক করেন।

তিনি অবশ্য বলেন, তার সফর এবং বৈঠক চীনের মানবাধিকার নীতির তদন্ত বা সেরকম কিছু নয়, তবে এটি সরকারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।

মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, “এই সফরটি একটি তদন্ত ছিল না। চীনের সবচেয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে মানবাধিকার বিষয়ে একে অপরের কথা শোনার, উদ্বেগ প্রকাশ করা, অনুসন্ধান করার, ভবিষ্যতে আরও নিয়মিত অর্থবহ পারস্পরিক সম্পর্কের পথ প্রশস্ত করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের  শর্ত পূরণে চীনকে সহায়তা করার লক্ষ্য ছিল এই সফরে।”

গত বছর জাতিসংঘ বলেছিল, তারা বিশ্বাস করে জিনজিয়াংয়ের উইঘুরদের বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে, দুর্ব্যবহার করা হয়েছে এবং জবরদস্তি শ্রমে বাধ্য করা হয়েছে।

চীন সফরের পর ব্যাচেলেট বিবৃতিতে বলেন, “আমি সন্ত্রাস দমন ও মৌলবাদবিরোধী পদক্ষেপের প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি; বিশেষ করে উইঘুর এবং অন্যান্য প্রধান মুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর চীনের এই পদক্ষেপের প্রভাব নিয়ে।”

চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি নিরাপত্তার নামে জিনজিয়াং-এ ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায় বলে অভিযোগ মানবাধিকার প্রচারাভিযানকারীদের। চীন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা জিনজিয়াং-এ সংখ্যলঘু মুসলিমদের বন্দি, জোর করে পরিবারগুলোকে আলাদা করা এবং বন্ধ্যাকরণ করা। সূত্র: এএনআই

এসি