রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে না ইইউ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪০ পিএম, ৩০ মে ২০২২ সোমবার
যুদ্ধাক্রান্ত ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাশিয়ার ওপর নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত নয় বলেই জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশেষ করে, রাশিয়ার তেলে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে জোর আপত্তি জানিয়েছে ইইউর কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র।
তবে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে আর কী কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার পুনঃরায় বৈঠকে বসবেন ইইউর নেতারা।
সোমবার ও মঙ্গলবার- দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ইউক্রেনকে কীভাবে সর্বোচ্চ সমর্থন দেয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি চলমান যুদ্ধের প্রভাবে দ্রুত বেড়ে যাওয়া জ্বালানির দাম, খাদ্য সংকট এবং ইইউ সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষা নিয়ে যে উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা মোকাবেলা করার উপায় নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে রোববার এক বৈঠকে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে ইইউর কূটনীতিকরা একমত হতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইইউর একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, ‘‘এখনো এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যেগুলোতে একমত হতে হবে।”
ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে রাশিয়ার ওপর নতুন করে ৬টি নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আলোচনা করছে ইইউ। যার মধ্যে রাশিয়ার তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিও রয়েছে।
তবে প্রস্তাবিত এই নিষেধাজ্ঞার পুরো প্যাকেজটি আটকে দিয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটির যুক্তি, রাশিয়ার তেলে আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে তাদের পুরো অর্থনীতির জন্য তা বিশাল ধাক্কা হবে। কারণ, রাশিয়ার তেলের বিকল্প কোনো উপায় তারা সহজে খুঁজে পাবে না।
গতকালের ওই বৈঠকে একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্লোভাকিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্রও।
রাশিয়ায় তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে আলোচনা করছেন ইইউ নেতারা। কিন্তু তাদের আলোচনায় এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। এ অচলাবস্থার অবসানে ইউরোপীয় কমিশন রাশিয়া থেকে শুধুমাত্র ট্যাঙ্কারে করে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে আসা তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দেয়। বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও বিকল্প যোগানের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্র রাশিয়ার ‘দ্রাজবা’ পাইপলাইন দিয়ে তেল আমদানি করতে পারবে।
বুদাপেস্ট অবশ্য ওই প্রস্তাবে সমর্থন দেয়। কিন্তু এজন্য দেশটি ক্রোয়েশিয়া থেকে পাইপলাইনে তেল আনার সক্ষমতা আরো বাড়াতে এবং তাদের শোধনাগারগুলোকে রাশিয়ার ইউরাল ক্রুড (অপরিশোধিত তেল) ব্যবহার থেকে ব্রেন্ট ক্রুডে (পরিশোধিত তেল) পরিবর্তন করতে ইইউর আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। যার ফলে রোববার এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান কর্মকর্তারা।
আসন্ন দুই দিনব্যাপী ওই বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র- রয়টার্স, বিবিসি।
এনএস//