ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ফটোগ্রাফার সঙ্গে আনতে ভুললেন বর, বিয়ের আসর ছাড়লেন কনে

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ৩১ মে ২০২২ মঙ্গলবার

পাত্রের মাথায় টাক কিংবা অন্য কোনো কারণে বিয়ে ভাঙার খবর উঠে এসেছে শিরোনামে। কিন্তু  ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এবার বিয়ে ভেস্তে যাওয়ার যে কারণটি সামনে এল, তা সত্যিই অবাক করা!

কারণটা তাহলে খোলসে করে বলা যাক। বিয়ের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার জন্য ফটোগ্রাফারকে সঙ্গে আনতেই ভুলে গিয়েছেন পাত্র। জীবনের এমন বিশেষ দিনে কনে সাজে ছবি উঠবে না, এমনটা কি মেনে নেওয়া যায়! মেনে নিতে পারেননি কনেও। তাই এক নিমেষে বিয়েকে ঘ্যাচাং ফু করে দিয়েছেন তিনি! অর্থাৎ, বিয়ে, নতুন সংসার, স্বামীর থেকে তার কাছে যে অনেক বেশি জরুরি ছিল ফটোগ্রাফারের উপস্থিতি, তা এক বাক্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন কনে।

জানা গেছে, গত রোববার কানপুর দেহাত জেলার একটি গ্রামে ঘটেছে এমন অবাক করা ঘটনা। মঙ্গলপুর থানার অন্তর্গত এক গ্রামের কৃষক পরিবারের মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ভোগনিপুরের এক যুবকের সঙ্গে। নিজের সঞ্চয়ের প্রায় সবটুকু দিয়ে সুন্দরভাবে ছাদনাতলা সাজিয়ে দিয়েছিলেন কৃষক পিতা।

বর এবং বরযাত্রীদের আপ্যায়নের সমস্ত ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। এককথায়, চারহাত এক হওয়া শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ছাদনাতলায় বর-কনে হাজির হওয়ার পরও হল না মালাবদল, উচ্চারিত হল না বিয়ের মন্ত্র।

যে মুহূর্তে কনে বুঝতে পারলেন, বরপক্ষ সঙ্গে করে কোনও চিত্রগ্রাহক আনেনি, অমনি বেঁকে বসলেন তিনি। মালাবদলের মতো জীবনের অতি স্মরণীয় মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি হবে না, তা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি কনে। ব্যস, তখনই বিয়ে বাতিল! ছাদনাতলা থেকে বেরিয়ে সোজা প্রতিবেশীর বাড়ি চলে যান তিনি।

প্রত্যেকে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। যুবতীর যুক্তি, “যে নিজের বিয়েটাকেই বিশেষ গুরুত্ব দেয় না, সে ভবিষ্যতে কীভাবে আমার খেয়াল রাখবে!” ঘটনার গড়ায় থানা পর্যন্ত। কিন্তু দুই পক্ষ সমঝোতা করে ব্যাপারটা মিটিয়ে নেয়। ঠিক হয়, বরপক্ষকে খরচের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হবে। বরপক্ষও মিটিয়ে দেবে পাওনাগণ্ডা। তবে একটি ফটোগ্রাফারের জন্য যে বিয়ে ভাঙতে পারে, তা যেন এখনও বিশ্বাসই করতে পারছেন না অনেকে। 

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এসবি/