ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সাংবাদিকতায় বাধা হয় এমন আইন করা হবে না: আইনমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪১ পিএম, ৩১ মে ২০২২ মঙ্গলবার

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, স্বাধীন সাংবাদিকতায় বাধা হয়, এমন কোনও আইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার করবে না।

সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মী আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ডাটা সুরক্ষা আইন নিযয়ে আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী মঙ্গলবার এ কথা বলেন। 

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ এর সভাপতি তপন বিশ্বাস। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি পৃথিবীর অনেক গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে জায়গা পায়নি, যেটি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে সন্নিবেশ করে গেছেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই আইন না থাকলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভুল ব্যবহারের অভয়ারণ্য হবে দেশ। তবে এই আইনের যে কয়েকটি জায়গায় অসামঞ্জস্য আছে বলে মনে করা হয়, সেটার বিষয়ে সরকার সচেতন। 

তিনি বলেন, এ আইনে অনেকে অহেতুক মামলা করছিলেন। এ প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সালে আমি বলেছিলাম, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করার পর তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ আইনে মামলা হলে সঙ্গে-সঙ্গে কাউকে যেন গ্রেফতার না করা হয়, আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। এর ফলে এখন যত্রতত্র গ্রেফতার হচ্ছে না। দরকার হলে এ আইনটিও সংশোধন করা হবে।

গণমাধ্যমকর্মী আইনটি সাংবাদিকদের সুবিধার জন্যই করা হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, সুস্থ সাংবাদিকতা বন্ধ করার জন্য বর্তমান সরকার কোনও আইন করেনি, করবেও না। 

তিনি বলেন, ‘সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সমাজকে ভাগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা বন্ধ করার জন্যই আইন করা হচ্ছে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ইউনূস (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) সাহেবের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা মামলা করেছিলেন। সেই মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। যে ৪৩৭ কোটি টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল, সেটা ইউনূস সাহেব পরিশোধে রাজি হয়েছেন, সেই প্রেক্ষিতেই মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মামলা প্রত্যাহার নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে কী গেছে- ‘কার কত ক্ষমতা?’

ডাটা প্রটেকশন অ্যাক্টের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আমার সঙ্গে দেখা করে, তাদের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো বলেছে। আমি অবহিত হয়েছি। আমি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আগামীকাল (১ জুন) আমি তার সঙ্গে বসবো। 

তিনি বলেন, কথা উঠেছে এই (ডাটা প্রটেকশন অ্যাক্ট) আইনটির বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়নি। আমি নিশ্চিত করবো, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যেন আলোচনা করা হয়। 

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সারা পৃথিবীতে ডাটা প্রটেকশন আইন নিয়ে কী কী আছে এটা পর্যালোচনা করার জন্য আমি সব আইন আনাচ্ছি। যারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি।

এসি