ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৬ ১৪৩১

উদ্বোধনের চৌদ্দ মাস পর আসছে মিতালি এক্সপ্রেস

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৪৪ এএম, ১ জুন ২০২২ বুধবার | আপডেট: ১১:১৯ এএম, ১ জুন ২০২২ বুধবার

চালু হচ্ছে তৃতীয় ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন ‘মিতালি এক্সপ্রেস’। ভাড়া, আসনবিন্যাসসহ সিডিউল চূড়ান্ত করেছে দুদেশের রেলবিভাগ। উদ্বোধনের চৌদ্দ মাস পর ১ জুন থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি হয়ে ঢাকার সেনানিবাস রেলস্টশন পর্যন্ত আসবে মিতালী এক্সপ্রেস। 

২০২১-এর ২৭ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করেন। তবে করোনাসহ নানা কারণে শুরু হয়নি চলাচল।

বুধবার (১ জুন) দুপুর ১২.১০ মিনিটে নিউজলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি।

ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ট্রেনটি চলবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চারটি কেবিন কোচ এবং চারটি চেয়ারকার নিয়ে। ৫১৩ কিলোমিটার রেলপথে যাতায়াতে লাগবে নয়ঘণ্টা। 

এরপর থেকে সপ্তাহের রোব ও বুধবার নিউজলপাইগুড়ি থেকে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে রাত সাড়ে দশটায় ঢাকা পৌঁছাবে। সোম ও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে পরদিন ভারতীয় সময় সোয়া সাতটায় নিউজলপাইগুড়ি পৌঁছাবে।

ভারতের দিকের শেষ স্টেশন হলদিবাড়িতে এবং বাংলাদেশের দিকের শেষ স্টেশন চিলাহাটিতে চালক বদলাতে দশ মিনিট থামবে ট্রেনটি। আর কোনো বিরতি নেই।

অবকাঠামো উন্নয়ন শেষে যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হবে চিলাহাটি থেকেও।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, পহেলা জুন চিলাহাটি দিয়ে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকায় প্রবেশ করবে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস জটিলতা থাকার কারণে চিলাহাটি স্থলবন্দরে ভিসা এবং টিকিটের কার্যক্রম করা যাচ্ছে না। আপাতত ঢাকা থেকে ভিসা এবং টিকিটের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে।

ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম এবং ভারতের নিউজলপাইগুড়ি, কলকাতা ও ফেয়ারলিপ্লেস রেলস্টেশন থেকে কাটা যাচ্ছে টিকিট।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করেছে দুই দেশের রেল বিভাগ। মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণকরসহ প্রতিটি এসিবাথ সিটের ভাড়া ৫ হাজার ২৫৫ টাকা, এসি সিট ৩ হাজার ৪২০ টাকা, এসি চেয়ার ২ হাজার ৭৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে পাঁচ বছর পর্যন্ত অপ্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য মূল ভাড়ার ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে এবং তারা ২০ কেজি ওজনের মালামাল বহন করতে পারবেন।

ট্রেনটি দিনের বেলায় ৪৫৬ আসন এবং রাতে ৪০৮ আসন নিয়ে চলাচল করবে। 

করোনায় বন্ধ অন্য দুটি ইন্দো-বাংলাদেশ যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং বন্ধন এক্সপ্রেসও চলাচল শুরু করেছে রোববার। 

এএইচ