ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

‘গায়ক রূপঙ্কর অভিনয়ে কেন? অভিনেতার পেটে লাথি মারতে!’

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০১:০১ পিএম, ২ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার

কেকের আকস্মিক মৃত্যু যেমন শোকের ছায়া ফেলেছে, ঠিক তেমন তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালচনা। গায়ক রূপঙ্করের একটি মন্তব্য ইতোমধ্যে দু’ভাগে ভাগ করে ফেলেছে ভক্তকূলকে। এ মন্তব্যকে ঘিরে পাল্টা মন্তব্যও করছে সেলিব্রেটিরা। আর সেই লিস্টেই যোগ হলো অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের নাম।

বুধবার প্রথম তিনি মুখ খোলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে-র আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে। সজাগ করেন শিল্পীমহলকে। 

তিনি জানান, প্রতিবাদ এখনও ফেসবুকে আটকে থাকলে শিল্পের নামে গুন্ডামি চলতেই থাকবে! তার পরেই তিনি সরব রূপঙ্কর বাগচীর বিরুদ্ধে। 

গায়ককে তার প্রশ্ন, “ আপনি তো খুব ভাল গান। ওটাই আপনার পেশা। তা হলে কেন অভিনয়ের খাতায় নাম লেখালেন?’’

অভিনেত্রীর অভিযোগ, রূপঙ্কর না এলে কোনও ভাল অভিনেতা সুযোগ পেতেন। এবং নিজেকে প্রমাণ করতে পারতেন। রূপঙ্করও তো একাধিক পেশায় নাম লিখিয়ে অন্যের পেটে লাথি মারছেন!
রূপঙ্করকে নিয়ে তরজা শুরু সোমবার রাতে।

ওই দিন নজরুল মঞ্চে কেকে-র প্রথম অনুষ্ঠান। বলিউড গায়কের লাইভ অনুষ্ঠান নেটমাধ্যমে ভাইরাল হতেই রাতারাতি রূপঙ্করও আসে লাইভে!

বাংলার গায়কদের কেকে-র থেকে উচ্চমানের বলে দাবি করে বলেছিলেন, “আমাদের নিয়েও একই ভাবে মাতামাতি করুক বাংলা।”

ভিন্ন ভাষার শিল্পীরা বাংলায় এসে যেন বাংলার শিল্পীদের অন্নে ভাগ বসাচ্ছেন, এমনই ভাবনা হয়তো কাজ করেছিল তার মনে। সেই শুরু। সঙ্গে সঙ্গে রূপঙ্করের নিন্দায় পঞ্চমুখ সবাই। আর মঙ্গলবার কেকে-র আকস্মিক মৃত্যু সেই চর্চায় যেন ঘি ঢালে। কটু মন্তব্যের কারণে জনতার আদালতে গায়ক নিমেষে ‘খলনায়ক’!

এই বিতর্কেই নতুন সংযোজন স্বস্তিকা। তার পাল্টা প্রশ্ন, অভিনেতারা মঞ্চে গান গেয়ে দর্শকদের বিনোদনের চেষ্টা করলে দোষ! অন্য পেশার মানুষ পর্দায় মুখ দেখালে কোনও সমস্যা নেই?
 এর পরেই তিনি আঙুল তোলেন রূপঙ্করের দিকে। তার বক্তব্য, যিনি গানে পারদর্শী কেন তিনি নিজের পেশাতেই সন্তুষ্ট থাকবেন না!

যুক্তি দিয়ে এই অভিনেত্রী জানান, “ রূপঙ্করের গান শোনার জন্য টিকিট বিক্রি হতে পারে। কিন্তু ওর অভিনয় দেখার জন্য কি কেউ চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবেন?’’ 

রূপঙ্করের গান শোনা প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি, “এই ঘটনার পর থেকে কী করব জানি না। আমাদের তো সবার স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি! দু’দিন চেঁচাই। তার পর সবাই সব ভুলে যাই।”

সূত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন 
আরএমএ