ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মূল্যবৃদ্ধির কষ্ট কমানোর বাজেট চান অর্থনীতিবিদরা (ভিডিও)

মেহেদী হাসান আলবাকার

প্রকাশিত : ১০:১৬ পিএম, ২ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:১৮ পিএম, ২ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কষ্ট কমানোর বাজেট চান অর্থনীতিবিদরা। তাই আসছে বাজেটে বাজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কৌশল থাকা জরুরি বলছেন তারা। 

এদিকে, ভর্তুকি বৃদ্ধি ও আমদানি-নির্ভর পণ্যের উৎপাদন বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে চায় সরকার।

রপ্তানি ও প্রবাসী আয় মিলিয়েও মেটানো যাচ্ছে না আমদানি ব্যয়। ফলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ডলারের বিপরীতে দুর্বল হচ্ছে টাকার মান, চাপে পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। 

অন্যদিকে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বেপরোয়া। জাহাজ ভাড়াও বেড়েছে কয়েকগুণ।

আর এসবের সরাসরি প্রভাব পড়ছে সব ধরনের পণ্যমূল্যে। লাফিয়ে বাড়ছে দাম। ঠেকানো যাচ্ছে না মূল্যস্ফীতি। বিশেষ করে খাদ্যখাতের মূল্যস্ফীতি চরম কষ্টে ফেলেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষকে।   

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো- বিবিএসের তথ্য বলছে, দেশে মূল্যস্ফীতি এখন ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। বৈশ্বিক অস্থিরতা না কাটলে মূল্যস্ফীতির এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরো দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন বাস্তবতায় মানুষকে কমমূল্যে খাদ্যপণ্য ও সেবা দেয়াটা নতুন বাজেটের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাজার নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে শুল্ক কমানো হয়েছে ভোজ্যতেলে। প্রয়োজনে অপরিহার্য সব পণ্যের আমদানি ও ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট ও শুল্ক ছাড়ের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। একইসাথে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনার কথা বলছেন তারা।

এদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসন্ন বাজেটে বাড়ানো হচ্ছে ভর্তুকি-ব্যয়। নতুন অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য সরকারের।   

এনএস//