ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

লর্ডসে বোলারদের রাজত্বের দিনে এগিয়ে কিউয়িরাই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ৩ জুন ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:১১ পিএম, ৩ জুন ২০২২ শুক্রবার

অধিনায়কত্বের প্রথম ইনিংসেই ব্যর্থ হলেন স্টোকস

অধিনায়কত্বের প্রথম ইনিংসেই ব্যর্থ হলেন স্টোকস

সাম্প্রতিক ব্যর্থতা ভুলে বেন স্টোকসের নেতৃত্বে দুরন্ত কামব্যাক করল ইংল্যান্ড। লর্ডসে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে আগুনে বোলিং করলেন জেমস অ্যান্ডারসন ও জেমস পটসরা। যাদের সামনে এক গ্র্যান্ডহোম ছাড়া দাঁড়াতে পারেননি কোনো কিউয়ি ব্যাটারই। 

ফলে মাত্র ৪০ ওভারেই ১৩২ রানে শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪টি করে উইকেট নেন দুই জেমস (অ্যান্ডারসন ও পটস)।

প্রথম ওভার থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে বল করছিলেন অ্যান্ডারসন। আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়েছিলেন নতুন অধিনায়ক স্টোকস। স্লিপে পাঁচ-ছ’জনকে রেখে ক্রমাগত অফ স্টাম্পের বাইরে বল করছিলেন তিনি। ফলে সমস্যায় পড়েন কিউয়ি ব্যাটাররা। 

দু’অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের প্রথম চার জন ব্যাটার উইল ইয়ং, টম ল্যাথাম, কেন উইলিয়ামসন, ডেভন কনওয়েরা। মাত্র ১২ রানেই ৪ উইকেট পড়ে যায় তাদের। স্লিপে দুরন্ত ফিল্ডিং করেন জনি বেয়ারস্টো। প্রথম তিনটি ক্যাচই ধরেন তিনি।

এদিকে, অভিষেক টেস্টেই নজর কাড়েন ফাস্ট বোলার ম্যাথিউ জেমস পটস। নিজের প্রথম ওভারেই কিউয়ি অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে ফেরান ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ। পাঁচ ও ছয় নম্বরে নামা ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেল কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন বটে। কিন্তু তাদেরকেও সাজঘরে ফেরান অভিষিক্ত পটস। 

যার ফলে মাত্র ৪৫ রানেই ৭ উইকেট পড়ে যায় সফরকারীদের। মাত্র ১৩ রানেই ৪ উইকেট তুলে নেন পটস। যাতে মনে হচ্ছিল, খুব অল্প রানেই অলআউট হয়ে যাবে নিউজিল্যান্ড।

কিন্তু এসময় আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা শুরু করেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও টিম সাউদি। বেশ কয়েকটি বড় শট মারেন তারা। ফলে ১০০ পার হয় নিউজিল্যান্ডের। 

সাউদি ২৬ রান করে আউট হন। কিউয়িদের শেষ উইকেটটি নেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। তবে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন ডি গ্র্যান্ডহোম।

জবাবে জ্যাক ক্রাউলির ওয়ানডেসুলভ ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৩ ওভারেই পঞ্চাশ ছাড়ায় ইংল্যান্ড। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি এই ওপেনার। ৫৬ বলে ৭টি চারের মারে ৪৩ করে কাইল জেমিসনের শিকার হন তিনি। 

যার ফলে ৫৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর অবশ্য কিউয়ি পেস তোপে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিক ইংল্যান্ডও।

যার ফলে প্রথম দিন শেষে ৩ উইকেট হাতে থাকলেও ১৬ রানে পিছিয়ে আছে তারা। আউট হওয়া ৭ জনের মধ্যে দুই ওপেনার ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন আর মাত্র একজনই। তিনি সদ্য সাবেক অধিনায়ক জো রুট, ১১ রান করে আউট হন তিনি। 

এছাড়া জ্যাক ক্রাউলির ৪৩ এবং অ্যালেক্স লীসের ২৫ রানের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। এ থেকেই অনুমেয় যে, লর্ডসে রাজত্ব চলছে বোলারদেরই, বিশেষ করে পেসারদের।

যাইহোক, দিন শেষে উইকেটরক্ষক ব্যাটার বেন ফোকস ৬ রানে এবং স্টুয়ার্ট ব্রড ৪ রানে অপরাজিত আছেন। তিন কিউয়ি পেসার কাইল জেমিসন, তিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

তবে, সফরকারী পেসারদের সামনে বাকি তিন উইকেটে স্বাগতিকরা ঠিক কতদূর যেতে পারেন, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

এনএস//