থ্রিডি-প্রিন্টেড কানে তরুণীর স্বপ্ন পূরণ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৫২ পিএম, ৪ জুন ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০২:৫৪ পিএম, ৪ জুন ২০২২ শনিবার
অ্যালেক্সা একজন ২০ বছরের মেক্সিকান তরুণী। যিনি জন্মের পর থেকে বিরল মাইক্রোশিয়া রোগে আক্রান্ত। যার ফলে তার ডান কানের সঠিক বিকাশ হয়নি। অবশেষে তার দৈহিক অপূর্ণতা দূর হয়েছে, পেয়েছেন সুন্দর একটি কান। অবিশ্বাস্য এই সাফল্য এনে দিয়েছে অত্যাধুনিক থ্রিডি-প্রিন্টিং মেশিন।
জানা যায়, নতুন কানটি এমন একটি আকারে মুদ্রিত হয়েছে যা অবিকল মহিলার বাম কানের সাথে মিলে যায়। আর ২০ বছর বয়সী এই নারীর জন্য কানটি তারই কোষ ব্যবহার করে তৈরি করেছে থ্রিডিবায়ো থেরাপিউটিক্স নামের একটি জৈবপ্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি।
আর এই সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কাজটি সেরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোশিয়া রোগের চিকিৎসায় খ্যাতনামা হাসপাতাল কনজেনিটাল ইয়ার ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা। অঙ্গটি প্রতিস্থাপনে চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দেন শল্যবিদ আর্তুরো বোনিলা।
শল্যবিদ আর্তুরো বোনিলা বলেছেন, “ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি বিপ্লব ঘটাবে। থ্রিডি-প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরিতে সাফল্য পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।”
নতুন কান পেয়ে উল্লসিত অ্যালেক্সা বলেন, “এই কানের জন্য এতদিন লোকের কটু কথা শুনতে হতো। এখন আমার পরিপূর্ণ কান আছে, এটা খুবই আনন্দের বিষয়।”
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, কান প্রতিস্থাপন, এই প্রযুক্তির একটি সফল চিকিৎসা প্রয়োগের প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অংশ, টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে একটি অত্যাশ্চর্য অগ্রগতি।
থ্রিডিবায়ো থেরাপিউটিক্স রোগীর নিজের কোষ ব্যবহার করে বানানো কানের নাম দিয়েছে ‘অরিনোভো ইয়ার’।
প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, থ্রিডি-প্রিন্টিং কান অন্য অঙ্গের মতোই স্বাভাবিক গতিতে চলবে। বর্তমানে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফুসফুস ও রক্ত কোষ গঠনের বিষয়ে গবেষণা চলছে। ভবিষ্যতে যকৃত ও কিডনির মতো জটিল অঙ্গ তৈরির চেষ্টাও করা হবে।
সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
আরএমএ/ এসএ/