পরিচ্ছন্নতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন হাবিপ্রবি’র
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:৩৯ পিএম, ৫ জুন ২০২২ রবিবার
সবার হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক, কেউবা ধরে আছেন ঝুড়ি। ঝাড়ু হাতে অনেকে পরিষ্কার করছেন নিজ শ্রেণিকক্ষ, করিডোর কিংবা ভবনের চারপাশ। শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা থেকে কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই অংশ নিয়েছেন পরিচ্ছন্নতা অভিযানে।
রোববার (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সাথে সঙ্গতি রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজন করে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস’ নামে এক অভিনব কর্মসূচি।
‘পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস, আমাদের সৌন্দর্য্য’ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মসূচি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভাইস-চ্যান্সেলর তার নিজের অফিস এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশাসনিক ভবন পরিষ্কারের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, হল, ঈদগাহ, গবেষণা মাঠ, আবাসিক এলাকা পরিষ্কারে নামেন সবাই।
আগে থেকে প্রায় ১৫টি জোনে ভাগ করা অঞ্চলে শিক্ষকদের সহযোগিতায় স্ব স্ব অনুষদের শিক্ষার্থীরা তাদের অনুষদ প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করেন। হল সুপারদের নেতৃত্বে হলগুলোতে চলে পরিষ্কার কার্যক্রম।
রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে অভিযান। প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
শিক্ষার্থীরা বেশ স্বতস্ফূর্তভাবে নিজেদের নির্ধারিত অঞ্চলের প্রতিটি ময়লা পরিষ্কার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানীরা ময়লা ফেলে যে জায়গাটি ভরাট করে ফেলেছিলেন সেই জায়গাটিও পরিষ্কার করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আরফিন জাহান স্বর্ণা জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা আমাদের ক্লাসরুম, ফ্লোরগুলো পরিষ্কার করেন। আজ আমরা নিজেরা তা পরিষ্কার করলাম। সত্যিই এক অন্যরকম অনুভূতি। এই মহতি উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান বলেন, “পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস, আবাস কার না ভালো লাগে? আজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার করলাম। এটি শুধু আজকের জন্য নয়, এই ধারা অব্যাহত রাখা হবে। এটি সারা দেশের সব ক্যাম্পাসের জন্য অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ সকল অনুষদের শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মতো। শিক্ষার্থীদের কাজে সহযোগিতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, “আজ বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজেরা পরিষ্কার করলাম। এটি যাতে আর ময়লা না হয় এমনটাই প্রত্যাশা থাকবে সকলের কাছে।”
এএইচ