ছবিতে দেখুন সীতাকুণ্ডের আগুনের ভয়াবহতা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৪৮ পিএম, ৫ জুন ২০২২ রবিবার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা। আহত ও দগ্ধ ৪ শতাধিক মানুষের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে। এরইমাঝে স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে আগুনের ভয়াবহতা। জুম আর্থের হিট ম্যাপে স্পষ্ট কতটা ভয়ংকর ছিল এই অগ্নিকাণ্ড।
ছবিতে দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশে যে পরিমাণ অংশ লালচে হয়ে আছে সেই পুরোটা এলাকাই আগুন, তাপ এবং গরম ধোঁয়ার কারণে।
আগুনের যতদুর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে ততদূর পর্যন্ত লালটে বর্ণ ধারণ করেছে এবং লাল অংশের উপর মাউস নাড়ালে (হিট) গরম লেখা দেখাচ্ছে।
শনিবার (৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। ডিপোর কনটেইনারে কেমিক্যাল জাতীয় দাহ্য পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণ শুরু হয়। ফলে দ্রুত পুরো ডিপোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় দগ্ধের সংখ্যা দেড়শ জনের মতো হবে। কিন্তু পরে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। মেষ পর্যন্ত আহত অন্তত চারশ জনের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে।
রোববার রাত পর্যন্তও একে একে উদ্ধার করা হয় মরদেহ। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দমকলকর্মীরাও। দমকল বাহিনীর তথ্যমতে, ঘটনাস্থলে বহু রাসায়নিকের কন্টেইনার ছিলো, যা তদের জানানো হয়নি। যে কারণে মৃত্যু হয়েছে উদ্ধারকর্মীদের।
শেষ পর্যন্তও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। পরে তাদের সাথে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বাংলাদেশে কোনা একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নেভাতে গিয়ে এই বাহিনীর এতো কর্মীর প্রাণহানি স্মরণ কালের মধ্যে কখনো ঘটেনি।
একে একে নয় জন দমকল কর্মীর মৃত্যু হয় এই দুর্ঘটনায়। তাদের দাবি, আগুন লাগার পর ডিপোর মালিক পক্ষের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। সঠিক তথ্য পেলে হয়তো এতো কর্মীর মৃত্যু হতোনা। রাসায়নিকের কথা জানলে অন্য পদ্ধতিতে আগুন নেভাতে অগ্রসর হতেন তারা।
পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ যে ছবি দেখে যে কেউ ভাবতে পারেন এটি বোধয় ইউক্রেনের বিধ্বস্ত মারিওপোল শহরের একাংশ।
উদ্ধারকাজ চালাতে চালাতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন দমকল কর্মীরা। তাই পালা করে বিশ্রাম নিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নেন তারা।
রাসায়নিকের কন্টেইনার থাকার কারণে একের পর এক বিস্ফোরণ হয়। এসব কন্টেইনারে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ছাড়াও আরো কিছু রাসায়নিক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও সেখানে রপ্তানির জন্য গার্মেন্টসের তৈরি পোশাকও ছিল।
এই ডিপোটি প্রায় ২৬ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। ধারণা করা হচ্ছে সেখানে কয়েক হাজার কন্টেইনার ছিল।
এসবি/