ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বাজেটে বাড়ছে এডিপির আকার (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ৬ জুন ২০২২ সোমবার

বেশিরভাগ মেগা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। নেই বাড়তি বরাদ্দের চাপ। প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করাই এখন মূল লক্ষ্য। তাই প্রকল্পগুলোর জন্য যতটুকু প্রয়োজন, সেই পরিমাণ অর্থই বরাদ্দ থাকছে নতুন বাজেটে। এদিকে, এবারও বেড়েছে এডিপির আকার। তবে কমেছে প্রকল্পের সংখ্যা।

সুখবর হলো, ২৫ জুন চালু হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল উন্মুক্ত হচ্ছে এ বছরের অক্টোবরে। আবার, ডিসেম্বরে রাজধানীর দিয়াবাড়ি-আগারগাঁও অংশে চলবে মেট্টোরেল। 

সব মিলে, ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ৮টি অগ্রাধিকার মেগা প্রকল্পে আর্থিক অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ৬৯ শতাংশ।  

এদিকে, মেগা প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই যোগাযোগ খাতের। তাই ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপির প্রায় ২৯ শতাংশই যাচ্ছে যোগাযোগ ও পরিবহনে। 

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, “প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকবে, যাতে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন বাধা সৃষ্টি না হয়। যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু বাজেটে রাখা হয়েছে।”
 
১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। নতুন বাজেটে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা পাচ্ছে প্রকল্পটি।

৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প পদ্মারেল সেতু সংযোগ প্রকল্প। আসছে অর্থবছরে এই প্রকল্পের উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। 

মেট্রোরেল, যার একাংশের কাজ প্রায় শেষ। তবে এমআরটি লাইন-সিক্সের বাকি অংশও দ্রুত সময়ে শেষ করতে চায় সরকার। নতুন অর্থবছরে মেট্রোরেল প্রকল্পে বরাদ্দ থাকছে ২ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা।  

এদিকে, কাজ প্রায় শেষ হলেও ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার প্রকল্প কর্ণফুলী টানেলের জন্য সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৩৩ কোটি টাকা। 

মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে নির্মিত হচ্ছে গভীর সমুদ্র বন্দরের অবকাঠামো। আসন্ন বাজেটে ৬ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা পাচ্ছে প্রকল্পটি।

যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পে এই বাজেটে বরাদ্দ রাখার কথা ভাবা হচ্ছে ৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। 

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রকল্পের সংখ্যা কমাটা উচিত, খুচরা ছোট ছোট প্রকল্প, রাস্তাঘাট-সড়ক-জনপথ ব্যাপক হয়েছে। নতুন করার দরকার নেই। বরং যেগুলো আছে সেগুলো চলমান রাখা, আর যেখানে প্রয়োজন সেখানে প্রসারিত করা।”

আপাতত কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার রুট নির্মাণ হচ্ছে না। তবে দোহাজারি-রামু-ঘুনধুম রেললাইনের কাজ জুনে শেষ হবার কথা। নতুন এডিপিতে বরাদ্দ পাচ্ছে ১২০ কোটি টাকা। 

গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কথা থাকলেও এখন সাধারণ বন্দরই নির্মাণ হচ্ছে পটুয়াখালীর পায়রায়। এখানে মোট দুটি প্রকল্প চলমান। অবকাঠামো ও সুবিধাদি উন্নয়ন প্রকল্প পাচ্ছে ৫১৩ কোটি এবং প্রথম টার্মিনাল ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি প্রকল্প পাচ্ছে ২৮৬ কোটি টাকা।

এএইচ