ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ধানমন্ডি আইডিয়ালের অধ্যক্ষকে ষড়যন্ত্র করে সরানোর দাবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৪৮ পিএম, ৬ জুন ২০২২ সোমবার

রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে তোলা সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে তাকেসহ তিন শিক্ষককে নিয়ম বর্হিভূতভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সাবেক অধ্যক্ষ শামছুল আলমের অনুসারীরা পূনরায় তাকে এ পদে বসাতে ষড়যন্ত্র হিসেবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উসকে দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ম্যানেজিং কমিটি বাধ্য হয়ে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছে বলে জানানো হয়েছে। 

সোমবার (৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন আহম্মেদ এমন দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ দাবি করেন, কোনোরূপ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. শামছুল আলম দায়িত্বে থাকা সময়ে তার নিকট আত্মীয় স্বজন ও নিজ এলাকার প্রায় ৫৫ জনকে শিক্ষক-কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন। তারা জোটবদ্ধ হয়ে মূলত কলেজটিতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছেন। এর আগেও তারা জোটবন্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আন্দোলন চালালেও তাতে সফল হয়নি। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কলেজ প্রশাসনকে হেয় প্রতিপন্ন করে মিথ্য ও বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করছে। তারা চাননা আমি এই কলেজে থাকি, তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে অধ্যক্ষ পদে বসাতে এমন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
 
তিনি বলেন, শামছুল আলমের দায়িত্বরত সময়ে এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগে অনিয়ম ও ভুয়া অভিজ্ঞতার সদনপত্র যাচাইয়ে গভর্নিংবডির অনুমোদনে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। এসব অনিয়াম ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে তদন্ত চলমান অবস্থায় তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। বিভিন্ন স্থানে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হয়। সে কারণে চলতি বছরের গত ২৬ মে কলেজের সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এই ঘটনায় কলাবাগান থাকায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ এসে ঘটনার সত্যতা পায়। 

তার মতে, তারা কলেজের ক্ষতি করেই থামেনি, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ফেসবুকে প্রচার করে কলেজ বিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু করতে আহ্বান করা হয়। সেটি না করলে শিক্ষার্থীদের রেজিস্টেশন করতে দেয়া হবে না বলে ভয়ভীতি দেখানো হয়। সে কারণে শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে যুক্ত হয়।
 
বহিস্কৃত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষর ছাড়া এককভাবে অধ্যক্ষ কলেজের ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকাও উত্তোলন করা সম্ভব নয়। এটি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা ও কলেজের উন্নয়নকাজে ব্যায় হিসেবে উত্তোলন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় উত্তোলন করা টাকার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে কোন অধ্যক্ষকে এক বছরের বেশি থাকতে দেয়া হয়না। শামছুল আলমের অনুসারীদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হলে নানা ধরণের অভিযোগে আন্দোলন করে তাকে সরিয়ে দেন। সেখানে আমি বিগত পাঁচ বছর ধরে সফলভাবে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের বহিস্কার হওয়া শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলী, তৌফিক আজিজ চৌধুরিসহ সাবেক শিক্ষার্থী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসি