ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের হেলমেট উপহার দিলেন কনে!

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৪:৫৬ পিএম, ৬ জুন ২০২২ সোমবার

পথ সচেতনতার জন্য পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন ভাবে প্রচার করে থাকে। আমজনতাকে সচেতন করে তোলে সেই সব প্রচার। কিন্তু বিয়ের আসরে এক কনে যা করলেন, তা জানতে পেরে গোটা ভারত এককথায় বিস্মিত। আর রাতারাতি পরিচিত হয়ে গেলেন সেই কনে।

বেবি কুমারীর বিয়েতে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন অনেকেই। বিয়ের আসরেই সবাইকে অবাক করে দেন বেবি। নিমন্ত্রিত ২১ জন অতিথিকে উপহার হিসেবে তিনি হাতে তুলে দেন একটি করে হেলমেট। বিহারের জামানপুর নিবাসী এই বেবি কুমারীর বিয়ে হয়েছে চোখরা গ্রামের বিকাশ মিশ্রর সঙ্গে।

স্ত্রী বেবির এমন কাজের প্রশংসা করেছেন বিকাশ। তিনি জানিয়েছেন, মানুষের মনে পথ সচেতনতা বাড়ানোই ছিল লক্ষ্য। দুর্ঘটনা এড়িয়ে সবাই যাতে সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে পারেন, সেটাই ছিল নব্য দম্পতির এক ও একমাত্র উদ্দেশ্য। সেই কারণেই বিয়ের আসরে হেলমেট বিতরণ।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গেল পাত্রী বেবি কুমারীর কাকা মাহুঙ্গ দুবে কিছু বছর আগে রসুলপুর রোডে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। তারপরেই বেবী শপথ করেন, মানুষের মনে হেলমেট পরা নিয়ে সচেতনতা বাড়াবেন। তখন থেকেই এই অভিনব ভাবনার কথা মাথায় আসে তার। সিদ্ধান্ত নেন তার বিয়েতে আমন্ত্রিতদের উপহার হিসেবে হেলমেট দিয়ে ছড়িয়ে দেবেন সচেতনতার বার্তা।

নবদম্পতি জানিয়েছে,দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল সন্দীপ শাহিকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বেবি ও বিকাশ। ‘হেলমেট ম্যান’ নামে পরিচিত সন্দীপ শাহি সারা বছর ধরে পথ সচেতনতা বাড়াতে নানান কর্মসূচি করে থাকেন। প্রায় সাড়ে ১১ হাজার হেলমেট বিলি করেছেন বিনামূল্যে।

২০১৪ সালে শুধুমাত্র হেলমেট পরে থাকার জন্য প্রাণে বেঁচে যান সন্দীপ। তার পর থেকেই মানুষকে হেলমেট পরার কথা বার বার বোঝাতে থাকেন তিনি। পথ সচেতনতা বৃদ্ধিতে জনপ্রিয় হিন্দি গান ‘আপনা টাইম আয়েগা’র অনুকরণে বানিয়েছেন একটি গানের ভিডিও যা বেশ ভাইরলও হয়েছিল। এছাড়াও প্রায় ৫১ জনের বিয়েতে উপহার দিয়েছেন হেলমেট। বিভিন্ন সময়ে ছাপড়া, বিলাসপুর, পাটনা, রায়পুর বা অযোধ্যার মতো জায়গায় করেছেন সচেতনতা বৃদ্ধির ক্যাম্পেন।

তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে হেলমেট উপহার দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০১৭ সালে নাসিকের প্রিয়দর্শনা সভাদ্রা এবং রুশভ গোগাদ তাদের বিয়েতে উপস্থিত ৫০০ জনেরও বেশি অতিথিকে হেলমেট বিতরণ করেছিলেন। প্রিয়দর্শনার বাবা রাজেন্দ্র সভাদ্রা সিটি পুলিশের প্রো-হেলমেট ক্যাম্পেন দেখে এমন ধারণা পান। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল বিহারের এই বিয়েতে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এসবি/