ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ৭ জুন ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:৫০ পিএম, ৭ জুন ২০২২ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

২০২০-২১ সালে প্লাস্টিক খাতের রপ্তানি ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক এসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)। বর্তমানে এই সেক্টর থেকে রপ্তানির পরিমাণ ১ বিলিয়ন ইউএস ডলার বলেও জানায় সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (৭ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক এসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) ও বিশ্বব্যাংকের প্রজেক্ট ইসি৪জে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর যৌথ উদ্যোগে ‘প্লাস্টিক টয় ইন্ড্রাস্ট্রি অব বাংলাদেশ আ পটেনশিয়াল সেক্টর ফর এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।   

বিল্ড এর সিইও মিসেস ফেরদৌস আরা বেগম তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে দেশে ৫ হাজার ৩০টি প্লাস্টিক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে ৯৮ শতাংশ এসএমই প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১.৫ মিলিয়ন লোকবল এখাতের সঙ্গে যুক্ত। ২০২০-২১ সালে প্লাস্টিক খাতের রপ্তানি ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই সেক্টরে রপ্তানির পরিমাণ ১.০ বিলিয়ন ইউএস ডলার।

তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিক খেলনা সেক্টর নন-ট্রাডিশনাল রপ্তানি খাত হিসাবে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। বিভিন্ন বয়সের শিশুদের বিনোদনের জন্য খেলনা ব্যবহার করা হয়। দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদা। বাংলাদেশের খেলনা ইতিমধ্যে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় পা রেখেছে। খেলনা রপ্তানির কমিউলিটিভ এভারেজ গ্রোথ রেট ২৪ শতাংশ। ২০২১-২২ সালে (জুলাই-এপ্রিল) মোট প্লাস্টিক রপ্তানি ইউএস ডলার ১২৮.৭৭ মিলিয়ন এবং খেলনা রপ্তানি ইউএস ডলার ৩৭.১০ মিলিয়ন বা মোট প্লাস্টিক রপ্তানির প্রায় ২৯%। ১২ মাসের গড় রপ্তানি হবে যথাক্রমে ১৫৫ মিলিয়ন ডলার এবং ৪৪ মিলিয়ন ডলার প্লাস্টিক এবং খেলনা। ২০২১-২২ সালে গড় বৃদ্ধির হার ২২%।

বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, টয়েস একটি ইনোভেটিভ পণ্য। উদ্যোক্তাগণ যখন খেলনা তৈরি করেন তখন প্রতিটি খেলনায় ভিন্নতা ও নতুনত্ব থাকে। বিপিজিএমইএ ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট ডিজাইন এন্ড রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে নতুন খেলনা আইটেমের পেটেন্ট রেজিস্ট্রেশন নিয়ে থাকে। আজ থেকে প্রায় ২৪ বছর পূর্বে ১৯৯৮ সাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৮ সালে মাত্র ৭টি খেলনা পণ্য পেটেন্ট রেজিস্ট্রেশন করা হয়। হিসাব মতে--১৯৯৯ সালে ১৫৫টি, ২০০০ সালে ৫৯টি, ২০০১ সালে ১২২টি পেটেন্ট রেজিস্ট্রেশন হয়। তেমনি ২০১৮ সালে ২৯৭টি, ২০১৯ সালে ২৩৪টি, ২০২০ সালে ১০৯টি, ২০২১ সালে ১৫৫টি এবং ২০২২ সালে অদ্যাবধি ৭১টি অর্থ্যাৎ সর্বমোট ২৫৫৮টি পেটেন্ট রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। খেলনা ও ক্রোকারিজ আইটেম এর রেজিস্ট্রেশন বাবদ অদ্যাবিধি সরকারি কোষাগারে ২,২৭,০৪,৩২৮ টাকা রাজস্ব হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। 

খেলনা শিল্প উন্নয়নের জন্য সরকারের একান্ত সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, টয় সেক্টর বিকাশের জন্য সরকারের সব রকমের সহযোগিতা লাগবে। যেহেতু প্লাস্টিক খাত একটি শ্রম নির্ভর এবং প্রচুর পরিমাণে মহিলা শ্রমিকের কাজের সুযোগ আছে তাই এই সেক্টর একদিন গার্মেন্টস এর মতো রফতানীতে বড় ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা আছে। আজ থেকে ১ দশক আগেও ৯০% খেলনা আমদানি নির্ভর ছিল। বর্তমানে ১০% আমদানি হয়, ৯০% দেশে তৈরি হয়। 

তৈরি খেলনা আমদানির ক্ষেত্রে ট্যারিফ মূল্য ৭.৫ ডলার অনেক কম, অন্তত পক্ষে ২০ ডলার কেজিতে নির্ধারণ করার আহ্বান জানান তিনি। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। চেয়ার হিসেবে ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)  মোঃ মনছুরুল আলম, কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ।    

এছাড়া প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শুভাশিষ বোস, এসএমই ফাউন্ডেশনের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন মাহমুদ, বিটাক পরিচালক ডঃ সৈয়দ মোঃ ইহসানুল করিম, বিপিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মোঃ ইউসুফ আশরাফ, গোল্ডেন সন লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল আহমেদ। এছাড়াও এফবিসিসিআই বিভিন্ন চেম্বার এসোসিয়েশন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, বিপিজিএমইএ’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, টয়েজ সেক্টরের সদস্যগণ সেমিনারে অংশগ্রহন করেন। 

এসি