ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৬ ১৪৩১

অ্যাম্বুলেন্স আছে নেই চালক, ভোগান্তিতে রোগীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৫৫ পিএম, ৮ জুন ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০২:৫৭ পিএম, ৮ জুন ২০২২ বুধবার

অ্যাম্বুলেন্স আছে,তবে নেই চালক। এমন বেহাল দশা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। যার কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আখাউড়াবাসী। বর্তমানে দুটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও, দেড় বছর ধরে কোন চালক না থাকায় ওই অ্যাম্বুলেন্স দুটি কোন কাজে আসছে না রোগীদের।
 
ফলে জরুরি চিকিৎসাসেবা নিতে আসা উপজেলার সাধারণ মানুষের ভরসা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদি। এতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা।
 
জানা যায়, রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ ৪টি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের ৩টি ও ভারতের দেওয়া একটি রয়েছে। 

২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের ৩টির মধ্যে যান্ত্রিক ক্রটির কারণে দুটি অ্যাম্বুলেন্স অনেক আগেই অচল হয়ে গ্যারেজ বন্দী হয়ে আছে। বাকী দুটি থাকলেও চালকের অভাবে অনেক দিন ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগীর স্বজনরা জানান, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না থাকার কারণে বিকল্প ব্যবস্থায় কয়েকগুন বেশি টাকায় রোগী নিয়ে যেতে হয়। তাই দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সের চালক দেওয়ার দাবি জানান আখাউড়া উপজেলার জনগণ।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৬ ফেব্রয়ারি এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মো: তাজুল ইসলাম পেনশনে চলে যায়। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তার গাড়ি চালক আবু বকরকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি মূল দায়িত্বে ফিরে যাওয়ায় নতুন করে শুরু হয় চালক সংকট। 

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার -পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: হিমেল খান বলেন, “অ্যাম্বুলেন্সের চালক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌরসভার মেয়রকেও অবগত করা হয়েছে।”

দ্রুত সময়ে শূন্যপদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স চালক পদায়ন হলে উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।

আরএমএ/এমএম/