কুয়াকাটা থেকে কলাগাছে ভেসে চেন্নাই যাওয়া পর্যটক পুলিশ হেফাজতে
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:২৩ পিএম, ৮ জুন ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৩:৩৮ পিএম, ৮ জুন ২০২২ বুধবার
কুয়াকাটায় ভ্রমণে এসে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ পর্যটক ফিরোজ শিকদার (২৭) এখন থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। বেনাপোল বন্দর থেকে মঙ্গলবার বড় ভাই মাসুম সিকদারকে নিয়ে মহিপুর থানায় এসে হাজির হন ফিরোজ।
মঙ্গলবার দুপুরে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল খায়ের গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে ফিরোজের সাথে কথা বলেন। কিভাবে তিনি কুয়াকাটা সৈকত থেকে চেন্নাই পৌঁছালেন, এমন প্রশ্ন ছিল সাংবাদিকদের।
এসময় ফিরোজ সিকদারের কথাবার্তা ছিল রহস্যজনক। তিনি জানান, ২৭ মে দুপুরে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে ঢেউয়ের তোড়ে গভীর সমুদ্রে ভেসে যেতে থাকলে প্রায় ২০ মিনিট পর একটি কলাগাছের নাগাল পান। এরপর ঢেউয়ে ওই কলাগাছে চেপে সমুদ্রের আরও গভীরে যেতে থাকেন। ইতোমধ্যে রাত হয়ে গেলে এর কোন একসময় একটি মাছধরা জেলেরা তুলে নেয় তাদের ট্রলারে।
ফিরোজের ভাষ্যমতে ওই মাছধরা ট্রলারটি ছিল ভারতীয়। এর একদিন পর ওই ট্রলারের জেলেরা ভারতীয় নৌ বাহিনীর হাতে তাকে তুলে দেন। ভারতের চেন্নাই শহরে তাদের হেফাজতে থাকার একদিন পর একটি মোবাইল ফোন কিনে দেওয়াসহ বিমানযোগে কোলকাতা পৌঁছাবার যাবতীয় ব্যবস্থা করেন ভারতীয় নৌ বাহিনীর সদস্যরা।
তবে মোবাইলফোন ক্রয়ের ক্যাশমেমো এবং বিমান ও ট্রেনে যাত্রী হিসেবে বেনাপোল সীমান্তে পৌঁছানো পর্যন্ত যেসব কাগজপত্র থাকার কথা এর কিছুই দেখাতে পারেননি ফিরোজ।
এদিকে কলাপাড়া উপজেলা জেলে ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি নুরু মাঝি বলেন, লবণাক্ত সমুদ্রের পানিতে ৭-৮ ঘন্টা কেউ ভাসমান থাকলে চেহারা ও ত্বকের দৃশ্যমান পরিবর্তন ঘটবে। কিন্তু ফিরোজের বেলায় তার কোন কিছুই স্পষ্ট নয়।
পুলিশের ধারণা, রহস্যজনক কারণে ফিরোজ নিখোঁজের গল্প সাজিয়ে থাকতে পারেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের এ প্রসঙ্গে বলেন, ফিরোজ কুয়াকাটা সৈকতে এসে সাগরে ভেসে গিয়েছেন কী না সেটি স্পষ্ট না হলেও বেনাপোল সীমান্ত থেকে মহিপুরে এসেছেন এটি সত্য। তবে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এএইচ