প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে গণঅনশন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০৭ পিএম, ৮ জুন ২০২২ বুধবার
এনটিআরসির ১ম থেকে ১৬ তম নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ না পেয়ে বেকরত্ব নিয়ে দূর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি পেতে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠন অনশন কর্মসূচি পালন করছে।
রাজধানীর শাহবাগে গণগ্রন্থাগারের সামনে রোববার সকাল (৫ জুন) থেকে গণঅনশন শুরু হয়।
সংগঠনের নেতারা দাবি করেন, নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের কোটা বিহীন প্যানেলে নিয়োগ দেয়া, চাকরি প্রত্যাশীদের স্ব-স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ এবং প্যানেলের অন্তর্ভূক্ত না করে তাদের আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।
এনটিআরসির প্রথম নিয়োগ পরীক্ষার পর থেকেই শুরু হয় নিয়োগ জটিলতা। সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং বারবার নীতিমালা পরিবর্তনের কারণে এই জটিলতা যেন শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার অন্তরায় হয়ে উঠেছে।
পূর্বে শুধুমাত্র পরীক্ষায় পাশ করলে সনদ প্রদান করা হত এবং এই সনদের ভিত্তিতে চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করত প্রার্থীরা। কিন্তু ২০০৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দিতে পারেনি। অথচ ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং সেই অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে ১ম ও ২য় গণবিলুপ্তিতে সনদ প্রাপ্ত প্রার্থীরা প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে পড়ে।
কর্মসূচিতে প্যানেল প্রত্যাশীরা অনশন কর্মসূচির প্রধান দাবি-
১। এক আবেদনে নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের কোটা বিহীন প্যানেলে নিয়োগ দিতে হবে। ২। চাকরি প্রত্যাশীদের স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে। ৩। ইনডেক্সধারীদের প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলীর ব্যবস্থা করতে হবে।
গণঅনশনে সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আলী বলেন, আমরা নিবন্ধিত শিক্ষক। তাই প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও এনটিআরসির কাছে দাবি, কোটাবিহীনভাবে আমাদের নিয়োগ দিন। আমাদের দাবি- নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ এবং প্যানেলে অর্ন্তভুক্ত না করে বদলির ব্যবস্থা করুন।
কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ওমর ফারুক বলেন, সনদ যার চাকরি তার। তবুও নতুন করে গণবিজ্ঞপ্তির দিয়ে ক্যাসিনো খেলা হচ্ছে। প্রথম থেকে ১৬তম পর্যন্ত নিবন্ধনকারী শিক্ষক যারা চাকরি পাইনি তারাই এখানে সমবেত। এনটিআরসিএ শুধু সনদ দিয়েছে চাকরি দেয়নি বরং বেকার সমস্যা আরো প্রকট করে তুলছে।
এসি