চারশ’ বছরের সাক্ষী গায়েবি মসজিদ (ভিডিও)
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:০৯ পিএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার
নাটোরের গুরুদাসপুরের চাপিলা শাহী মসজিদ ‘গায়েবি মসজিদ’ হিসেবে পরিচিত। প্রায় চারশ’ বছর ধরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তিনগম্বুজ ও তিন দরোজার মসজিদটি। সংস্কার করে বর্ধিত অংশে আধুনিকতার ছাপ আনা হলেও কিছু অংশে রেখে দেওয়া হয়েছে পুরোনো নকশা ও কারুকাজ।
চাপিলা এক সময় মুঘলদের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। মুঘল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মসজিদটি স্থাপন করেন মুনশী এনায়েতউল্লা।
কালক্রমে ধ্বংস হয় চাপিলা নগরী। তারপর বহুদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল এ অঞ্চল। হয়ে পড়েছিল জঙ্গলাকীর্ণ। ১৯৪৭’র পর বসতি গড়তে থাকেন মুর্শিদাবাদ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। আবারও খুঁজে পাওয়া যায় মসজিদটি।
স্থানীয় একজন জানান, “একটা বটগাছের নীচে মসজিদরুপী একটা ঘর। আমার দাদারা ভেতরে গিয়ে দেখেন পোকা-মাকড়ে পরিপূর্ণ। পরে ভেতরে একটা মেম্বর দেখতে পান। তাতে বোঝা গেল এটা মসজিদ। সেই সুবাধে আস্তে আস্তে তারা নামাজ পড়তে শুরু করলেন।”
লোকমুখে রটে যায়, একরাতের মধ্যে নির্মিত মসজিদটি।
এক মুসল্লি জানান, “এই মসজিদে বহু দান-খয়রাত আসে। শুক্রবারে একদম ভরে যায়। অনেকে গায়েবি গায়েবি করেন, আসলে এটা মানুষই বানিয়েছেন।”
ইট-সুড়কি দিয়ে তৈরি ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২০ ফুট প্রস্থের মসজিদটির দেওয়ালের প্রস্থ চারফুটের মত।
দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন মসজিদটি দর্শনে। তারাসহ এলাকাবাসী মনে করেন, এখানে হতে পারে পর্যটনকেন্দ্র।
এএইচ