সব ফোনে একই চার্জার নীতিতে সম্মত ইইউ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার
সব স্মার্টফোনে বাধ্যতামূলক ইউএসবি-সি পোর্টের চার্জারসংক্রান্ত নীতিমালা অনুমোদন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে ২০২৪ সাল থেকেই সব ফোনে একই ধরনের চার্জার থাকতে হবে।
অনেক দিন ধরেই এক ফোন এক চার্জার নীতিমালার পক্ষে জোরেশোরে প্রচারণা চালিয়ে আসছিল ইইউ কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে যত ফোন লঞ্চ হবে, তা সে যে ব্র্যান্ডেরই হোক না কেন, থাকতে হবে ইউএসবি-সি পোর্ট।
ইইউর আইনপ্রণেতারা অবশেষে এমনই সমঝোতায় পৌঁছেছেন। খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ২০২৪ সালে পদার্পণের পর থেকেই ইইউয়ে যত ফোন লঞ্চ করবে, সেগুলোয় ইউএসবি-সি চার্জিং পোর্ট বাধ্যতামূলক। এ নিয়মে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে অ্যাপল। বর্তমানে ফোনে লাইটনিং পোর্ট দিচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোভিত্তিক কোম্পানিটি।
সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদনে জানা গেছে, অ্যাপল বাজারে এমন কিছু ফোন নিয়ে আসতে চলেছে, যাতে আর লাইটনিং পোর্ট থাকবে না। বদলে থাকবে সর্বজনীন ইউএসবি-সি। ইইউর এ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকে মাথায় রেখে খুব সম্ভবত ২০২৩-এর শেষ বা ২০২৪ সালের প্রথমেই ইউএসবি-সি পোর্টের হ্যান্ডসেট নিয়ে আসবে অ্যাপল।
এ আইন বেশ কয়েক বছর ধরেই বিবেচনাধীন ছিল এবং অবশেষে তা সমঝোতায় এসে পৌঁছেছে। তবে শুধু মোবাইলের ক্ষেত্রে নয়। ইইউর নতুন নিয়মটি কার্যকর হবে অন্য আরো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ক্ষেত্রে। তার মধ্যে রয়েছে ট্যাবলেট পিসি, ডিজিটাল ক্যামেরা, হেডফোন, হ্যান্ডহেল্ড ভিডিও গেম কনসোল ও ই-রিডার।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের গণসংযোগ প্রধান অ্যালেক্স এজিয়াস সালিবা এক বিবৃতিতে বলেন, প্রতিটা নতুন ডিভাইসের জন্য বিভিন্ন চার্জার ব্যবহার করতে করতে ইউরোপীয় ভোক্তারা ত্যক্ত-বিরক্ত। এবার থেকে তারা তাদের সব পোর্টেবল ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের জন্য একটাই চার্জার ব্যবহার করতে পারবেন।
সবার জন্য একই চার্জার নীতি আসলে ইইউয়ে ই-বর্জ্যের পরিমাণ কমানোর অন্যতম একটা পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। আইনটি একবার বলবৎ হয়ে গেলে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো আর তাদের ফোনের রিটেল বক্সে চার্জার দেবে না। কারণ সেই ক্রেতার বাড়িতে এরই মধ্যে একটা ইউএসবি টাইপ-সি কেবল রয়েছে। ইইউর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নতুন আইনে প্রতি বছর অন্তত ২৪ কোটি ইউরো বা ২৮ কোটি ডলার অর্থ সাশ্রয় হবে, যা অযথা চার্জার কেনার পেছনে ব্যয় করা হতো। এছাড়া প্রতি বছরে ১১ হাজার টন ই-বর্জ্য কমাতে সাহায্য করবে এ আইন।
চলতি বছরের শেষ দিকে ইইউ পার্লামেন্ট ও কাউন্সিল দ্বারা আইনটি অনুমোদিত হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের তরফে বলা হচ্ছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর নাগাদ আইনটি কার্যকর হবে। আর এ আইন একবার কার্যকর হয়ে গেলে তা অ্যান্ড্রয়েডের চেয়ে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করবে অ্যাপল আইফোনের ক্ষেত্রে। কারণ মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট থেকে সরে এসে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এরই মধ্যে ইউএসবি-সি পোর্ট দেয়া হচ্ছে। অ্যাপলই একমাত্র সংস্থা, যারা ইউএসবি-সির পরিবর্তে নিজস্ব লাইটনিং পোর্ট ব্যবহার করে।
এসবি/