ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন, ২২ কোটি টাকা বিক্রির আশা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার

কথায় আছে গ্রীষ্মকালে ফলের ছাড়াছড়ি। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুর স্বাদে মুখরিত ফলপ্রেমীরা। আর এর মধ্যে সুখবর এ’বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুস্বাদু রসালো কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কৃষকেরা সঠিকভাবে বাগানের পরিচর্যা করায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে।

যার ফলে মৌসুমের শুরুতে ভালো দাম পেয়ে খুশি বাগান মালিকরা। অন্যদিকে দাম হাতের নাগালে থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারাও। চলতি বছর জেলায় প্রায় ২২ কোটি টাকার কাঁঠাল বিক্রি করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের আবাদ করা হয়েছে। জেলার বিজয়নগর, কসবা এবং আখাউড়া উপজেলার পাহাড়ি টিলাভূমি এলাকার মাটি লাল হওয়ায় সেখানে কাঁঠালের ভালো ফলন হয়েছে।

এছাড়াও জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর, কালাছড়া, ছতুরপুর, পাহাড়পুর, মেরাসানী, আউলিয়া বাজার, চম্পকনগর, সিঙ্গারবিল, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর, বায়েক, মন্দভাগ, কায়েমপুর এবং আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, আমোদাবাদ, রাজাপুর এলাকায় রয়েছে কাঁঠাল বাগান। এসব বাগানের গাছে গাছে ঝুলে আছে ছোট-বড় রসালো কাঁঠাল।

এ বিষয়ে কৃষকরা জানান, পাহাড়ী টিলা ভূমির কাঁঠাল রসালো ও মিষ্টি হওয়ায় বাজারে এসব কাঁঠালের রয়েছে বেশ চাহিদা। প্রতি একশ’ কাঁঠাল ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দরে বাগান থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। ভাল দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন বাগান মালিকেরা।
  
বিজয়নগরের বাগান মালিক আবুল হাসান বলেন, চলতি বছর আমাদের এলাকায় কাঁঠালের ভালো ফলন হয়েছে। প্রতিদিনই বাগান থেকে ১ থেকে ২শ’ কাঁঠাল কাটা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা কাঁঠাল নিতে আমাদের এলাকায় আসেন। এখান থেকে কাঁঠাল নিয়ে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। 

তিনি বলেন, ফলন ভালো হওয়ার আমরা লাভবান হবো বলে আশা করছি।

আনন্দবাজারে কাঁঠাল কিনতে আসা যুবক হিমেল বলেন, অন্যান্য এলাকার চেয়ে বিজয়নগরের কাঁঠাল আমাদের কাছে প্রিয়। দামও হাতের নাগালের মধ্যে। মাটির গুণাগুন ভালো হওয়ার এই অঞ্চলের কাঁঠাল খুব মিষ্টি হয়। সেজন্য এই এলাকার কাঁঠাল বেশি পছন্দ করি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, “ চলতি বছর জেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের আবাদ করা হয়েছে। জেলার বিজয়নগর, কসবা এবং আখাউড়া উপজেলায় কাঁঠালের আবাদ ভালো হয়। চলতি বছর কাঁঠালের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০,২৬০ মেঃ টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও ফলন ভাল হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। 

জেলায় প্রায় ২২ কোটি টাকার কাঁঠাল বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা।

আরএমএ/এএইচ