ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

কমছে করপোরেট কর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৯ পিএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:৫৪ পিএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির (ব্যাংক, বীমা, এনবিএফআই, টেলিকম ও তামাকজাত পণ্য ছাড়া) করপোরেট কর হার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসারের লক্ষ্যে গতবছর অর্থ আইনে করপোরেট কর হার ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে কমানো হয়েছিল। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে করপোরেট কর হার আরও কমানোর প্রস্তাব করছি।
 
তিনি আরও বলেন, কর কমানোর ক্ষেত্রে সব প্রাপ্তি ও আয় অবশ্যই ব্যাংকে স্থানান্তরের মাধ্যমে গৃহীত হতে হবে এবং ১২ লাখ টাকার অতিরিক্ত ব্যয় ও বিনিয়োগ অবশ্যই ব্যাংকে স্থানান্তরের মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে এ শর্তে আমি নন-লিস্টেড কোম্পানির কর হার ৩০ শতাংশ থেকে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশে কমানোর প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, অর্থনীতির অধিকতর আনুষ্ঠানিকীকরণ এবং এক ব্যক্তি কোম্পানির প্রতিষ্ঠা উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এক ব্যক্তি কোম্পানির কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

মন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের অধিক শেয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য কর হার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। তবে এক্ষেত্রে ১০ শতাংশ বা তার কম শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে হস্তান্তরকারী লিস্টেড কোম্পানির কর হার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। এছাড়া, পূর্বোক্ত শর্ত পরিপালনে ব্যর্থতায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

এছাড়াও ব্যক্তি-সংঘের কর হার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। আর কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা ও অন্যান্য করযোগ্য সত্তার কর হার ৩০ শতাংশ থেকে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

২০২২-২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার কথা বলা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি। নতুন বাজেটে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ ঘাটতি ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। 

আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বেশি। কর বাবদ ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে এনবিআরকে আগের বছরের তুলনায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দিচ্ছে সরকার। এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি। বৈদেশিক অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।

এমএম/