সকালের এই ৬ অভ্যাসেই ওজন কমবে দ্রুত!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:১৮ পিএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার
মেদহীন ছিপছিপে চেহারা কম-বেশি সকলেই চান। তার জন্য পরিশ্রমও কম করেন না। নিয়মিত শরীরচর্চা করা, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলা, মেপে খাওয়াদাওয়া, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো এবং আরও কত কিছু উপায় অবলম্বন করেন। তবে এত চেষ্টার পরেও অনেক সময় ওজন কমতে চায় না। তাই অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, এত পরিশ্রম না করে প্রতিদিন সকালে নির্দিষ্ট কয়েকটি কাজ করলেই দ্রুত ফলাফল মিলতে পারে। তাহলে জেনে নিন, দ্রুত ওজন কমাতে প্রতিদিন সকালে কী কী কাজ করবেন -
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠুন ওজন কমাতে চাইলে পর্যাপ্ত ঘুম খুবই প্রয়োজন। এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান এবং খুব সকালে ওঠার অভ্যাস করুন। দেরি করে উঠলে হজমের গন্ডগোল হতে পারে, শরীরচর্চা ও ব্রেকফাস্টের নিয়মেও ব্যাঘাত ঘটে।তাড়াতাড়ি বিছানা ছাড়লে নির্দিষ্ট সময় নিয়ে ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট সবই নিয়মমাফিক হয়।
রোদে বসুন হাড় মজবুত রাখার পাশাপাশি ওজন কমানোর জন্যও ভিটামিন ডি বা সানশাইন ভিটামিন খুবই প্রয়োজন। প্রাকৃতিক উপায়ে ভিটামিন ডি গ্রহণের জন্য কয়েক মিনিট সূর্যের আলোতে বসুন। সকালে কিছুক্ষণ সূর্যের আলোয় থাকলে এনার্জি বাড়বে, হরমোনের পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ-এ থাকবে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
ওজন কমাতে বা রোগা হতে চাইলে নিয়মিত শরীরচর্চা করতেই হবে। তাই প্রতিদিন সকালে সময়মতো শরীরচর্চা বা যোগব্যায়াম করুন। সকালের দিকে শরীরচর্চা করলে তা ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় বেশি প্রভাব ফেলে। তাছাড়া, শরীরচর্চা আমাদের শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, সক্রিয় রাখে ও এনার্জি বাড়ায়।
প্রচুর পানি পান করুন। সকালে পানি পানের অভ্যাস করুন। পানি মেটাবলিজম বাড়ায়, শরীর থেকে টক্সিন বের করে এবং ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, পানি শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং খিদে কমায়। আপনি রোজ সকালে নর্মাল পানি কিংবা উষ্ণ লেবু পানি পান করতে পারেন। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উষ্ণ লেবু পানি সবচেয়ে ভাল বিকল্প। হজমের উন্নতিতেও দারুণ সাহায্য করে গরম পানি।
ব্রেকফাস্ট কখনই স্কিপ করবেন না, তাহলে কিন্তু ফলাফল বিপরীত হতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ প্রাতঃরাশ করার চেষ্টা করুন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভরপুর প্রোটিন আছে এমন খাবার অনেকক্ষণ পেট ভরতি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এছাড়াও, প্রোটিন পেশী তৈরি করতে, মেটাবলিজম বাড়াতে এবং শরীরকে শক্তিশালী রাখতেও সাহায্য করে।
মানসিক চাপ এবং স্ট্রেসের কারণে শরীরে কর্টিসল নিঃসৃত হয়। এটি একটি স্ট্রেস হরমোন। কর্টিসল ওজন বাড়াতে পারে। তাই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত মেডিটেশন করুন। সারা দিন নিজেকে চনমনে রাখতে মেডিটেশন বা ধ্যানের বিকল্প নেই। ধ্যান মানসিক চাপ উপশম করতে, এনার্জি বাড়াতে, স্মৃতিশক্তি এবং ফোকাস বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ ধ্যান করার অভ্যাসে মস্তিষ্ক শান্ত থাকবে, ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
এসবি/