ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তনের’ বাজেট (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ০৯:৫৭ পিএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:১৮ পিএম, ৩০ মে ২০২৩ মঙ্গলবার

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, যেখানে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য সাড়ে ৭ শতাংশ। ঘাটতি প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা।

ঘাটতি পূরণে বরাবরের মতোই ঋণের ওপর নির্ভর করতে চান অর্থমন্ত্রী। মানুষকে স্বস্তি দিতে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি প্রায় ৮৩ হাজার কোটি টাকা। আর সামাজিক নিরাপত্তাসহ কল্যাণমুখী খাতে খরচ হবে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। 

কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তনকে লক্ষ্য ধরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য এই বাজেট প্রস্তাব। ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থমন্ত্রী সহজ উপস্থাপনায় এক একটি খাত ধরে তুলে ধরেন আয়-ব্যয়ের হিসাব।  

মহামারি আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির। কমছে টাকার মূল্যমান। রপ্তানি-রেমিট্যান্স মিলে যে বৈদেশিক মুদ্রা আসছে, তা দিয়ে মিটছে না আমদানি ব্যয়। সামষ্টিক অর্থনীতির এমন চাপ নিয়েই ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বিশাল অংকের বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরেছেন চার লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। যার মধ্যে তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা জোগান দেবে এনবিআর। 

আর এনবিআর-বহির্ভূত খাত থেকে আসবে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ব্যতিত ৪৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্বের সাথে তিন হাজার ২৭১ কোটি টাকা অনুদান প্রত্যাশা করছেন অর্থমন্ত্রী। 

তারপরও ঘাটতি থাকছে দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। আর অনুদান বাদ দিলে ঘাটতি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট বাজটের প্রায় ৩৬ শতাংশ। তবে জিডিপির সাড়ে পাঁচ শতাংশের বেশি নয়। 

ঘাটতি পূরণে এবারও ঋণের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে অর্থমন্ত্রীকে। বিদেশি উৎস থেকে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ছয় হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, আর সঞ্চয়পত্রসহ ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে চান অর্থমন্ত্রী।

এবার অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৩ হাজার ২৪২ কোটি টাকা, যার পুরোটাই চলে যাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-ভাতায়। আর দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিসহ (এডিপি) সার্বিক উন্নয়ন ব্যয় দুই লাখ ৫৯ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা। 

মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সারসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ৮৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক কল্যাণ, কর্মসৃজন ও বিভিন্ন ভাতায় বরাদ্দ এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। 

এবারের বাজেট বক্তৃতায় শিরোনাম করা হয়েছে, ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন।’ তাই ঠিকঠাক বাস্তবায়ন হলে নতুন অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে সাত শতাংশ হবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। 

এসবি/এসি