ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বাজেটে মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে ভাবতে হয়নি (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী

প্রকাশিত : ০৯:৫৯ পিএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:১২ পিএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার

এ বছরই কমপক্ষে চারটি মেগা প্রকল্প পূর্ণ ও আংশিকভাবে চালু হচ্ছে। আবার বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে। এসব কারণে এই বাজেটে মেগা প্রকল্পে বাড়তি টাকা নিয়ে ভাবতে হয়নি অর্থমন্ত্রীকে। প্রকল্পগুলো শেষ করে আনতে সর্বমোট দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে পরিবহন খাতকে। এই খাতে বরাদ্দ ৮১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা।  

জুনে পদ্মা সেতু, অক্টোবরে-কর্ণফুলী টানেল চালু হচ্ছে। আবার আংশিক হলেও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আর মেট্রোরেল আলোর মুখ দেখছে এ বছরই।

বড় বড় এসব প্রকল্পের এই অগ্রগতিতে হিসেব-নিকেষে স্বস্তিতে বাজেট। মেগা প্রকল্পের বেশিরভাগই যোগাযোগ খাতে। বড় বরাদ্দের খাতায় তাই এডিপির প্রায় ২৯ শতাংশ যাচ্ছে এই খাতে। 

অগ্রাধিকার পাওয়া আটটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। এগুলোর নির্মাণ ব্যায় টাকার অঙ্কে দুই লাখ ২৭ হাজার ৮৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এরইমধ্যে খরচ হয়েছে এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৯১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। প্রকল্পগুলোর আর্থিক অগ্রগতি ৬৮ দশমিক ছয় শূন্য শতাংশ। 

টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এর নির্মাণ ব্যয় এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা। বরাবরের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি, ১৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রকল্পটিতে ।২০২৫ সালের ডিসেম্বরে  শেষ হবে এর নির্মাণকাজ। 

পদ্মা সেতুর সড়ক অংশ যান চলাচলে উন্মুক্ত হচ্ছে। বাকি থাকছে রেল সেতু সংযোগ প্রকল্প। এই প্রকল্পটির এ পর্যন্ত অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ।  ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্পটির জন্য বাজেটে পাঁচ হাজার ৮০০ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। 

দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশে চলতি বছরের ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-সিক্স। প্রকল্পের বাকি অংশের কাজের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই হাজার ৮৮২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব এসেছে। 

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৩৩ কোটি টাকা। 
কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ ব্যয় ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। এছাড়াও প্রকল্পের সাথে অতিরিক্ত হিসেবে দেশের একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দরের অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে। এর জন্য বাজেটে ছয় হাজার ৮১৫ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পে এই বাজেটে তিন হাজার ৮৫০ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 

দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলট্র্যাক নির্মাণের অগ্রগতি ৭১ ভাগ। এই বাজেটে প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। 
গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কথা থাকলেও এখন সাধারণ বন্দরই নির্মাণ হচ্ছে পটুয়াখালীর পায়রায়। এখানে মোট দুটি প্রকল্প চলমান। অবকাঠামো ও সুবিধাদি উন্নয়ন প্রকল্প পেল ৫১৩ কোটি এবং প্রথম টার্মিনাল ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি প্রকল্পে রাখা হয়েছে ২৮৬ কোটি টাকা। 

এসবি/এমএম/