ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ার ধর্ষণ-আইনে বিপ্লব ঘটালেন যে নারী (পর্ব-১)

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ০৯:৫২ পিএম, ১০ জুন ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:৫৫ পিএম, ১০ জুন ২০২২ শুক্রবার

স্যাক্সন মুলিন্স

স্যাক্সন মুলিন্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের বাসিন্দা স্যাক্সন মুলিন্স। যিনি ২০১৩ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই ধর্ষণের শিকার হন। বর্তমানে ২৭ বছর বয়সী এই নারী বলেছেন, তিনি একবার রোমান্টিক স্বপ্ন দেখেছিলেন তার "প্রথম রোমান্স"টা কেমন হবে তা নিয়ে।

ওই সময়কার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মুলিন্স বলেন, সিডনির একটি গলিতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে তিনি কুকড়ে পঙ্গুর মতো হয়ে গিয়েছিলেন। মাত্র কয়েক মিনিট আগে যার সাথে তার দেখা হয়েছিল, সেই লোকটির দ্বারাই তিনি ধর্ষিত হন। 

ঘটনাটি এখনো অবিবাহিত মুলিন্সকে সবসময়ই প্রভাবিত করে যে- তিনি এজন ধর্ষিত।

সেইসঙ্গে এটা তাকে অস্ট্রেলিয়ায় আইনি সংস্কারের জন্য চাপ প্রয়োগ করতেও অনুপ্রাণিত করেছিল। যার প্রেক্ষিতেই আদালতে দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষ হওয়ার পর বিচারক খুঁজে পান- জড়িত ব্যক্তি বুঝতে পারেনি যে, যৌনতায় তার (মুলিন্স) সম্মতি ছিল না।

যদিও এই মামলার ফলাফল নিজের অনুকূলে আনাটা সহজ ছিল না মুলিন্সের জন্য। কেননা, পাঁচ বছর আগেই ২০১৭ সালে বিচারকের রায়ে পরাজিত এবং ক্ষমতাহীন বোধ করে আদালত থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল ভুক্তভোগী এই তরুণীকে।

তবে পাঁচ বছর পর- গত সপ্তাহেই তার রাষ্ট্র এমন একটি আইন প্রবর্তন করেছে, যা সেই সময়ে বিদ্যমান থাকলে লোকটিকে তখনই জেলে যেতে হত।

এ বিষয়ে মুলিন্স বলেন, "এটা অনেক লোকের জন্যই কিছুটা ন্যায়বিচার মাত্র।" স্বস্তির সঙ্গে ২৭ বছরের এই তরুণী আরও বলেন, "এটি একটি স্বীকৃতি যে, আপনার সাথে যা ঘটেছিল তা খারাপ ছিল এবং এর কারণেই আমরা পরিবর্তন এনেছি।"

নিউ সাউথ ওয়েলসে (NSW) নতুন অনুমোদিত এই "ইতিবাচক সম্মতি" আইনের অধীনে, যৌনতার জন্য একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই এমনকিছু বলতে বা করতে হবে, যাতে অপরজনের সম্মতি জানতে পারা যায়।

অবশ্য পূর্বে আসামিরা এমন যুক্তি দিতে পারত যে, তারা যুক্তিসঙ্গতভাবেই বিশ্বাস করেছিল যে তাদের মধ্যে সম্মতি ছিল- এমনকি যদি ঘটনার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীর তা জানানোর কোনো উপায় নাও থাকে।

সম্মতি মূলত, একজন ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে, সে যৌনতার বিষয়ে "হ্যাঁ" বলছে, অথবা "না"। সূত্র- বিবিসি।

(চলবে...)

এনএস//